করোনা সংক্রমণের ফলে চাকরি হারানোসহ নানা কারণে বিভিন্ন দেশ থেকে এখন পর্যন্ত ৮৫ হাজার ৭৯০ কর্মী দেশে ফিরেছেন। এরমধ্যে নারী কর্মীর সংখ্যা ৫ হাজার ৬৫৭ জন।
বৃহস্পতিবার (২৭ আগস্ট) গণমাধ্যমে পাঠানো প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এদের মধ্যে অনেকেই করোনাকালে কাজ হারিয়েছেন।
২৬টি দেশ থেকে এই সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশি দেশে ফিরেছেন। সবচেয়ে বেশি ফিরেছেন সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে। মোট ২৭ হাজার ৬৫৮ জন এসেছেন সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে। ফেরত আসা শ্রমিকদের অনেকেই ছুটিতে এসেছেন বলে জানিয়েছেন। আবার করোনার নেতিবাচক প্রভাবে কর্মস্থল বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণেও অনেকে দেশে ফিরেছেন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আবার তাদের কর্মস্থলে ডাকা হবে বলেও জানিয়েছেন তারা। ১৭ হাজার ৩১৭ জন এসেছেন সৌদি আরব থেকে।
এসময়ে, করোনায় বিপর্যস্ত পর্যটন নির্ভর অর্থনীতির দেশ মালদ্বীপ থেকে দেশে ফিরেছেন ৮ হাজার ১১৯ জন। আকামা বা ভিসার মেয়াদ না থাকা অবৈধ হওয়ায় সাধারণ ক্ষমার আওতায় ও অনেকেই কারাভোগ শেষে কুয়েত থেকে ফিরেছেন ৭ হাজার ৫৪৯ জন। কাজ না থাকায় পারস্য উপসাগরের দেশ কাতার থেকে এসেছেন ৭ হাজার ১২৯ জন। ৫ হাজার ৪০৩ জন এসেছেন ওমান থেকে। এদের মধ্যে অনেকেই বিভিন্ন মেয়াদে কারাভোগ শেষে আউট পাস নিয়ে ফিরেছেন বলে জানানো হয়েছে।
কাজ না থাকায় মালয়েশিয়া থেকে ফিরেছেন ২ হাজার ৪৭৪ জন প্রবাসী শ্রমিক। একই কারণে ইরাক থেকে ফিরেছেন ২ হাজার ১৩৬ জন। তুরস্ক থেকে ফিরেছেন ২ হাজার ৩৩৮ জন প্রবাসী। কাজের চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ায় ১ হাজার ৬০৪ জন প্রবাসী শ্রমিক ফিরেছেন সিঙ্গাপুর থেকে।
এছাড়া, জর্ডান থেকে ১ হাজার ৭৪ জন, লেবানন থেকে ১৩৭৬ জন, বাহরাইন থেকে ৭৪৬ জন, ইতালি থেকে ১৫১ জন, ভিয়েতনাম থেকে ১২২ জন, দক্ষিণ কোরিয়া ও রাশিয়া থেকে ফিরেছেন ১শ’ জন করে। শ্রীলঙ্কা থেকে ১৩৫ জন, নেপাল থেকে ৫৫ জন, কম্বোডিয়া থেকে ৪০ জন, মিয়ানমার থেকে ৩৯ জন, মরিশাস থেকে ৩৬ জন, থাইল্যান্ড থেকে ২০ জন, হংকং থেকে ১৬ জন আর জাপান থেকে ফিরেছেন ৮ জন প্রবাসী শ্রমিক।