বিক্ষোভের মুখে একে একে স্বাস্থ্যবিধি শিথিল করছে চীন। আর এরই প্রভাব পড়েছে দেশটির করোনা পরিস্থিতিতে। করোনার নতুন ওয়েভে রীতিমতো বিধ্বস্ত দেশটির স্বাস্থ্য ব্যবস্থা। আন্তর্জাতিকভাবে একে একে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞায় জর্জরিত হচ্ছে বেইজিং। এরই মধ্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অভিযোগ, করোনা নিয়ে চীন থেকে যথেষ্ট তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের।
একাধিক টুইটবার্তায় এরই বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক তেদরোস আধানম ঘেঁব্রিয়াসুস। তিনি বলেন, আমরা চীনের ক্রমবর্ধমান পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন। করোনা পরীক্ষা এবং সর্বোচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তিদের টিকা দেয়ার জন্য চীনকে উত্সাহিত করে যাচ্ছি। তবে চিন্তার বিষয় হলো, চীনে করোনার বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে যথেষ্ট তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না।
তিনি আরও বলেন, চীনের করোনা নিয়ে সৃষ্ট ব্যাপক ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতি মূল্যায়নের জন্য আমাদের আরও বিস্তারিত তথ্য প্রয়োজন।
এরই মধ্যে চীনের ওপর ভ্রমণ বিধি-নিষেধ আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্রসহ একাধিক দেশ। ওইসব দেশে প্রবেশের ক্ষেত্রে চীনা নাগরিকদের করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট দেখানোকে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
এ নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশ নিজেদের নাগরিকদের সুরক্ষিত রাখার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে এটাই স্বাভাবিক। কারণ, চীন থেকে করোনা সম্পর্কিত তেমন কোনো তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না।
প্রসঙ্গত, শুরু থেকে কঠোর ‘জিরো কোভিড নীতি’ অনুসরণ করলেও ব্যাপক আন্দোলনের মুখে চীনা সরকার সম্প্রতি করোনা বিধি-নিষেধ শিথিল করতে শুরু করে। এর প্রভাবে হু-হু করে বাড়তে থাকে সংক্রমণ। দেশটির হাসপাতালগুলোতেও স্থান সংকুলান হচ্ছে না। এমন পরিস্থিতিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা চীনা নাগরিকদের সাহায্যে কাজ করে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন তেদরোস আধানম ঘেঁব্রিয়াসুস।