আগে থেকেই ধারণা করা হচ্ছিলো ব্রিটেন জুড়ে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হলে সংক্রমণ ও মৃত্যু দ্রুত গতিতে বাড়তে পারে, সেটিই বাস্তব রূপ নিয়েছে। আর তাই তড়িঘড়ি করেই পুরো দেশজুড়ে এক মাসের জন্য লকডাউন ঘোষণা করলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।
আগামী ৫ নভেম্বর থেকে কার্যকর হবে এই লকডাউন। এ সময় প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের না হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। বরিস বলেন, ‘চিকিৎসা সেবায় বিপর্যয় রুখতেই আমাদের লকডাউনে যেতে হচ্ছে। এবারের বড়দিন হয়তো একেবারেই অন্যরকম হবে, তবে তখন যেন সবাই অন্তত মিলিত হতে পারি সেজন্য সবাইকে বিধি নিষেধ মানতে হবে। ২ ডিসেম্বরের পর আশা করি লকডাউন শিথিল করা হবে।’
লকডাউনের ফলে ব্রিটেনবাসীর জীবন-জীবিকার উপর প্রভাব পড়বে বলেও জানান বরিস জনসন। তবে, দেশের বৃহত্তর স্বার্থে এই বিধি নিষেধ মেনে চলতেই হবে। নতুন বিধি-নিষেধের আওতায় নিত্যপণ্যের দোকানের পাশাপাশি সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তবে, এর ফলে লকডাউনের কার্যকারিতা কতটুকু সফল হবে – তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
ব্রিটেনে প্রতিদিন ৪ হাজার মানুষের মৃত্যুর আশঙ্কা করছেন বিজ্ঞানীরা। এ শীতে কোভিড ঊনিশে আক্রান্ত হয়ে দেশটিতে ৮৫ হাজার মানুষ মারা যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তারা।
ব্রিটেনের বিভিন্ন সংস্থা গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই দেশজুড়ে দ্বিতীয় লকডাউনের দাবি জানিয়ে আসছিল। তবে সরকার দেশের অর্থনীতি রক্ষার প্রশ্নকে সামনে এনে পুরো দেশে লকডাউন না দেওয়ার পক্ষে অবস্থান নেয়। ব্রিটেনজুড়ে এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১০ লাখের বেশি মানুষ। মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৪৬ হাজার।