ডক্টর আসিফ মাহমুদ। ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। গবেষণার প্রতি বাড়তি টান আগে থেকেই। বুঝেশুনেই ২০১৬ সালে যোগ দেন গ্লোব বায়োটেকে। সুযোগ ছিল, এখনো আছে, যুক্তরাষ্ট্রের মত উন্নত দেশে থাকার, কাজ করারও। তা না করে দেশেই গবেষণায় মন দেন জাপানে পিএইচডি করা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই সাবেক শিক্ষার্থী।
কোভিড নাইনটিনের ভ্যাকসিন নিয়ে শতভাগ আত্মবিশ্বাসী গ্লোব বায়োটেকের গবেষণা প্রধান ডক্টর আসিফ মাহমুদ। বলছেন, নিয়ন্ত্রক সংস্থার আন্তরিক সহায়তা পেলে ছয় মাসের মধ্যেই তা মানুষের কাছে পৌঁছানো সম্ভব। তার মতে, এ কাজে বড় চ্যালেঞ্জ, সময়মত কাঁচামাল পাওয়া।
এরই মধ্যে কিডনী ও ক্যান্সারের মত জটিল রোগের ওষুধ তৈরি করে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের অনুমোদনের অপেক্ষায় কোম্পানিটি।
৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা রোগী পাওয়ার দিন থেকেই ভ্যাকসিন নিয়ে গবেষণা শুরু করেন আসিফ মাহমুদরা। প্রথম দফা অ্যানিম্যাল ট্রায়ালে সফলতার পর বৃহস্পতিবার তা জানান দেশবাসীকে।
আদৌ এই ভ্যাকসিন আসবে কি না, সেই প্রশ্ন তুলছেন কেউ কেউ। তাদের খানিকটা ধৈর্য্য ধরার অনুরোধ ডক্টর আসিফের। আর এই ভ্যাকসিন আবিষ্কারে এখনো যে কিছু চ্যালেঞ্জ আছে, তা-ও ভাল জানা তার।
এই আবিষ্কারের পেছনে পেশাদারিত্বের পাশাপাশি যে নিজের আবেগও জড়িত সে কথাও স্পষ্ট করেন এই বিজ্ঞানী।
উৎসঃ যমুনা টেলিভিশন