বাংলাদেশে গত ৮ মার্চ প্রথম কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়। আজ শুক্রবার (৫ জুন) ৯০তম দিনে এসে করোনাভাইরাস সংক্রমিত শীর্ষ ২০ দেশের তালিকায় ঢুকে গেলো বাংলাদেশের নাম। আন্তর্জাতিক জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ডোমিটার এ তথ্য জানিয়েছে।
আজ কোভিড-১৯ নিয়ে আয়োজিত নিয়মিত অনলাইন সংবাদ বুলেটিনে স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা জানিয়েছেন, গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ২ হাজার ৮২৮ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে দেশে এখন পর্যন্ত মোট ৬০ হাজার ৩৯১ জনের মধ্যে করোনাভাইরাস ধরা পড়লো। গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছে ৩০ জন। সব মিলিয়ে দেশে কোভিড-১৯ রোগে মারা যাওয়ার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮১১।
ওয়ার্ল্ডোমিটারে করোনাভাইরাস সংক্রমিত দেশের তালিকায় এক নম্বরে আছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে আমেরিকায় মৃত্যুহার কমেছে। শীর্ষ ২০ দেশের তালিকায় থাকা মেক্সিকোতে নতুন করে ৮১৬ জন, পাকিস্তানে ৬৮ জন ও রাশিয়ায় মারা গেছে ১৪৪ জন।
বাংলাদেশের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা গত ৮ মার্চ জানিয়েছিলেন, বাংলাদেশে তিন জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে দুই জন পুরুষ, অন্যজন নারী। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত এই তিন ব্যক্তির মধ্যে দুই জন ইতালি থেকে দেশে ফিরেছেন।
আইইডিসিআর পরিচালক আরও জানান, ইতালি থেকে আসা দু’জন ভিন্ন পরিবারের সদস্য। তাদের একজন বাসায় আসার পর তার মাধ্যমে একজন নারীও আক্রান্ত হয়েছেন।
দেশে করোনা আক্রান্ত প্রথম রোগী মারা যায় ঠিক ১০ দিন পর (১৮ মার্চ)। তার বয়স ছিল ৭০ বছরের বেশি। তিনি বিদেশ ফেরত নন, তবে বিদেশ থেকে আসা এক আত্মীয়ের মাধ্যমে তিনি সংক্রমিত হয়েছিলেন বলে জানায় আইইডিসিআর। সংক্রমণের পর তিনি আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন। এছাড়া তিনি ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, কিডনি সমস্যা ও হৃদরোগে ভুগছিলেন।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহর থেকে ছড়িয়ে পড়ে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। একপর্যায়ে জীবাণুটি নিয়ে বিশ্বজুড়ে জরুরি স্বাস্থ্য পরিস্থিতি (হেলথ ইমার্জেন্সি) ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।