করোনাভাইরাসের সম্ভাব্য একটি ভ্যাকসিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল (মানবদেহে) পরীক্ষা শুরু করেছে রাশিয়া। বুধবার রুশ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। এর মধ্য দিয়ে করোনার ভ্যাকসিন উদ্ভাবনে বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় নিজেদের হাজির করলো দেশটি।
রুশ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দুই ধরনের ভ্যাকসিন (তরল ও পাউডার) উদ্ভাবন করেছে মস্কোভিত্তিক প্রতিষ্ঠান গামালিয়া রিসার্চ ইনস্টিটিউট অব এপিডেমিওলজি ও মাইক্রোবায়োলজি। ৩৮ জন মানুষের দুটি গ্রুপে উভয় ধরনের ভ্যাকসিনের পরীক্ষা চালানো হবে।
মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার প্রথম ডোজ স্বেচ্ছাসেবীদের দেহে প্রবেশ করানো হবে।
রাশিয়ার শীর্ষ বার্তা সংস্থা তাস জানায়, স্বেচ্ছাসেবীদের দুটি গ্রুপে সামরিক ও বেসামরিক ব্যক্তিরা হয়েছেন। এই পরীক্ষা পরীক্ষামূলক ভ্যাকসিনটির সুরক্ষা ও কার্যকারিতা যাচাই করা হবে।
প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক অধ্যাপক অ্যালেক্সান্ডার গিন্টসবার্গ বলেছেন, এই পরীক্ষা সম্পন্ন হতে দেড় মাস সময় লাগবে। নির্বাচিত স্বেচ্ছাসেবীরা ২১ দিন অন্তর দুটি ডোজ গ্রহণ করবেন এবং তাদের মস্কোর দুটি হাসপাতালে আইসোলেশনে রাখা হবে।
গত মাসে এই অধ্যাপক জানিয়েছিলেন, তিনি ও তার দলের গবেষকরা মানবদেহে পরীক্ষা শুরু আগে নিজেদের দেহে প্রয়োগ করেছেন। এতে তারা কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া পাননি। তবে কতজন তা গ্রহণ করেছিলেন তা জানাননি তিনি।
রুশ সংবাদমাধ্যমের খবর অনুসারে, দেশটির অন্তত সাতটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান করোনার ভ্যাকসিন উদ্ভাবনে কাজ করছে।