নেত্রকোণার কলমাকান্দায় কমিউনিস্ট পার্টির সমাবেশে হামলা করা হয়। হামলায় কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্সসহ অন্তত ২০ জন নেতাকর্মী আহত হন। শুক্রবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিকেল তিনটার দিকে ওই উপজেলা পরিষদের শহিদ মিনার প্রাঙ্গণে এ ঘটনা ঘটে।
কমিউনিস্ট পার্টির নেতাকর্মীদের দাবি, সমাবেশ চলাকালে উপজেলা ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, কৃষকলীগ, ওলামালীগ, শ্রমিকলীগের নেতাকর্মীদের সাথে পুলিশও হামলা চালায়। এতে সিপিবির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, কাযকরী কমিটির সদস্য দিবালোক সিংহ, জেলা সিপিবির সভাপতি নলিনী কান্ত সরকার, সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক আহমেদ, জেলা কমিটির সাবেক সভাপতি স্বপন চৌধুরী, উপজেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মৃত্যুঞ্জয় তালুকদারসহ অন্তত ২০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী, দলীয় নেতাকর্মী ও পুলিশ সূত্রে পাওয়া তথ্য, জ্বালানি তেল ও সারসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে শুক্রবার বিকেলে সমাবেশের আয়োজন করে উপজেলা সিপিবি। বিকেল পৌনে তিনটার দিকে নেতাকর্মীরা দলীয় কার্যালয় থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। পরে সদরের প্রধান সড়ক ঘুরে উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে শহিদ মিনারে যান। সেখানে সমাবেশ শুরু হলে উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক সোহেল রানা, যুগ্ম-আহ্বায়ক মো. রাজন মিয়া, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি হেলাল উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক অমিত সরকার, ওলামালীগের সভাপতি মো. তরিকুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মো. ওমর ফারুক, জাতীয় শ্রমিকলীগের সভাপতি মো. রুকনুজ্জামানের নেতৃত্বে হামলা চালানো হয়।
সিপিবি নেতাকর্মীদের অভিযোগ, এ সময় পুলিশও তাদের ওপর হামলা চালায়। হামলাকারীরা সমাবেশস্থলের চেয়ার, মাইক ভাংচুর করে, ব্যানার ছিড়ে ফেলে।
হামলার শিকার সিপিবির কেন্দ্রীয় সদস্য চিকিৎসক দিবালোক সিংহ বলেন, শান্তিপূর্ণ সমাবেশ চলাকালে ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ওলামালীগসহ সরকারি দলের নামধারী উচ্ছৃঙ্খল যুবকরা সমাবেশস্থলে এসে হামলা ও ভাঙচুর চালায়। এ সময় কলমাকান্দা থানার ওসির উপস্থিতিতে পুলিশও আমাদের লাঠিপেটা শুরু করে। কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক, আমিসহ ২০ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। আহতরা কলমাকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এ ন্যাক্কারজনক ঘটনার প্রতিবাদের ভাষা নেই।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক সোহেল রানা বলেন, সরকারের বিরুদ্ধে সিপিবির নেতাকর্মীরা মিছিল সমাবেশ করছিল। তাই আমরা তাদের নিষেধ করেছি। তবে তাদের ওপর কোনো হামলা করা হয়নি। এ কথা বলে তিনি ফোন রেখে দেন।
তবে কলমাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবদুল আহাদ বলছেন, সরকারি দল ও সিপিবির নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছিল, আইনশৃঙ্খলা স্বভাবিক রাখতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছে।