তিমির বনিক, মৌলভীবাজার প্রতিনিধি: মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার রহিমপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের প্রবীণ মুরব্বী, গ্রাম্য সালিশ কারক আব্দুল খালিক (৬৮) কে কুপিয়ে হত্যা চেষ্টার ঘটনায় আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মৌলভীবাজার বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে আব্দুল খালিক বাদী হয়ে গত ২৯ জুন মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার আসামীরা হলেন- উপজেলার রহিমপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড এর বর্তমান ইউপি সদস্য মৃত ওয়াদ মিয়ার পুত্র বুলবুল আহমদ ওয়াতির ও মৃত হাজী আলাউদ্দিন এর পুত্র নজির মিয়া গং অজ্ঞাত ৩/৪জন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে কমলগঞ্জ থানার ওসিকে এজাহার হিসেবে গণ্য করতে নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার এজাহার ও বাদী সূত্রে জানা গেছে, আব্দুল খালিক দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থতায় ভুগতেছিলেন গত ২৭ জুন দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রামচন্দ্রপুর কমিউনিটি ক্লিনিকে চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে ফেরার পথে উজির মিয়ার দোকানের সামনে আসলে রহিমপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড সদস্য বুলবুল আহমদ ওয়াতির তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন। এ সময় তিনি বাধা দিলে পুর্ব পরিকল্পিত ভাবে তাদের হাতে থাকা দা ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে অতর্কিত ভাবে হামলা চালিয়ে মারাত্মক ভাবে রক্তাক্ত জখম করেন। পরে স্থানীয়রা গুরুতর রক্তাক্ত আব্দুল খালিককে উদ্বার করে প্রথমে কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে রেফার করেন।
আব্দুল খালিক জানান,আমি এখনও পুরোপুরি সুস্থ্য হয়ে উঠতে পারিনি,আমাকে রক্তাক্ত জখম করে তারা ক্ষান্ত নয়,আদালতে মামলা করায় তারা ক্ষিপ্ত হয়ে প্রাণ নাশ ও মিথ্যা মামলার হুমকি ধমকি দিচ্ছে এবং ইউপি সদস্য বুলবুল আহমদ ওয়াতির তার আত্বীয় স্বজন ও সহযোগীদের দিয়ে ফেসবুকের মাধ্যমে হামলার ঘটনাকে ধামাচাপা দিতে মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে সামাজিক ভাবে হেয় করার জন্য আমার বিরুদ্বে বিভিন্ন রকম কুৎসা রটনা করে যাচ্ছে।