আবাসিক হলের কক্ষের নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র করে সংঘর্ষে জড়িয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখা ছাত্রলীগের দুগ্রুপ। এ সময় হলের চারটি কক্ষ ভাঙচুর করে তারা। আহত হন অন্তত চারজন।
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ আবদুর রব হলে এ ঘটনা ঘটে।
বিবদমান উপগ্রুপ দুটি হলো— বাংলার মুখ (বিএম) ও একাকার। উভয় গ্রুপই সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিনের অনুসারী হিসেবে ক্যাম্পাসে পরিচিত।
ছাত্রলীগ সূত্রে জানা যায়, হলের কক্ষ নিয়ে আগে থেকেই দুপক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছিল। রাতে দুপক্ষের কর্মীদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা ও উত্তেজনা শুরু হলে তা সংঘর্ষে গড়ায়। পরে রাত আড়াইটার দিকে প্রক্টরিয়াল বডি ও পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। এ সময় হলের প্রায় ৪টি কক্ষ ভাঙচুর করা হয়। সংঘর্ষে আহত হন অন্তত ৪ জন।
একাকার উপগ্রুপের নেতা ও শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি মইনুল ইসলাম রাসেল বলেন, রাতে আমাদের মিটিং ছিল। মিটিং শেষ করে আমি চলে আসছি। জুনিয়ররা ছিল হলে। হলের কক্ষ কারা ভেঙেছে নির্দিষ্ট করে জানি না। আমাদের একজন আহত হয়েছে।
বিএম উপগ্রুপের নেতা ও চবি ছাত্রলীগের সহসভাপতি আবু বকর তোহা যুগান্তরকে বলেন, রাতে জুনিয়ররা আমাকে ফোন করে বলে, হলের বাইরে থেকে লোকজন এনে ওয়েটিংরুমে মিটিং করছে একাকার গ্রুপ। ইটপাটকেল ও লাঠিসোটাও নিয়ে এসেছে। একপর্যায়ে তাদের কর্মীরা হলের কক্ষ ভাঙচুর করতে থাকে। প্রথমে ১১৯ নম্বর কক্ষ ভাঙে। পরে আশপাশের কয়েকটা কক্ষও ভাঙচুর করে।
তিনি আরও বলেন, পরে জুনিয়ররা ঘটনাটি দেখতে গেলে তারা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এ সময় আমাদের জুনিয়ররা ক্ষেপে গিয়ে তাদের ধাওয়া দিয়ে হল থেকে বের করে দেয়।
শহীদ আব্দুর রব হলের প্রভোস্ট ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভুঁইয়া বলেন, সংঘর্ষের পর পরই প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা পুলিশসহ সেখানে যায়। সংঘর্ষের সময় ৩-৪ জন আহত হয়েছে বলে শুনেছি। আমরা তদন্ত কমিটি করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।