বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারি ছড়িয়ে পড়ার পর দুই বছর যাবত সৌদিতে বিদেশিদের জন্য হজ ও ওমরা পালন বন্ধ রয়েছে। শুধুমাত্র দেশটিতে অবস্থারত মুসল্লিরাই এ বছর হজ পালন করেছে। তবে দেশটি এবার অর্থনীতির কথা বিবেচনা করে ওমরা পালনের অনুমতি দিয়েছে। পহেলা মহররম ১৪৪৩ হিজরি থেকে (সম্ভব্য ১০ আগস্ট) দেশটিতে ওমরা হজ পালন করতে পারবেন অন্য দেশের মুসলিমরা।
বিশ্বব্যাপী মুসল্লিদের ওমরা হজ পালনে কঠোর বিধি-নিষেধ জারি করেছে দেশটির হজ ও ওমরা মন্ত্রণালয়।
সৌদির হারামাইন শরিফাইন ডিজিটাল মিডিয়া নামের একটি প্লাটফর্ম ওমরা পালনে আরোপিত বিধি নিষেধগুলো তুলে ধরেছেন।
বিধি-নিষেধগুলোর মধ্যে রয়েছে-
১. ওমরাহ পালনে ইচ্ছুক মুসল্লিদের আগে থেকেই বাধ্যতামূলকভাবে করোনাভাইরাসের সম্পূর্ণ ডোজ টিকা নিতে হবে। এক্ষেত্রে ফাইজার, মডার্না, অ্যাস্ট্রাজেনেকা অথবা জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকা নিতে বলেছে দেশটির মন্ত্রণালয়। এসব টিকার দুটি ডোজ গ্রহণ করা ছাড়া সৌদি আরবে প্রবেশ করা যাবে না।
২. ১৩ দেশের মুসল্লিরা বাদে অন্য সব দেশের মুসল্লিরা ওমরা করতে পারবেন। দেশগুলোর মধ্যে- আফগানিস্তান, আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, মিসর, ইথিওপিয়া, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, নেবানন, পাকিস্তান, দক্ষিণ আফ্রিকা, তুরস্ক, ভিয়েতনাম এবং আরব আমিরাত।
৩. ১৮ থেকে শুরু করে তদুর্ধ্ব ওমরাহ পালন করতে পারবেন। তবে ১৮ বছরের নিচে কেউ ওমরা করতে পারবেন না।
৪. সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদন পাওয়া ৫০০ ওমরাহ এজেন্সির মাধ্যমেই কেবল ওমরাহ পালনে ইচ্ছুকদের সৌদি আরবে আসতে হবে।
৫. কেউ চীনের দুই ডোজ টিকা নিয়ে থাকলে তাকে ফাইজার, মডার্না, অ্যাস্ট্রাজেনেকা অথবা জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকার বাড়তি বুস্টার ডোজ গ্রহণ করতে হবে।
এছাড়া ওমরা পালনে গমনেচ্ছুদের মাস্ক পরিধান এবং যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মানাসহ সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।
তবে উল্লিখিত বিধি-নিষেধ যে কোনো সময় পরিবর্তন ও পরিমার্জন করতে পারে সৌদির হজ ও ওমরা মন্ত্রণালয়।