নোয়াখালী প্রতিনিধি: বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা ওবায়দুল কাদের বীর ৭১ সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে ।
বৃহস্পতিবার (৫ মে) দুপুর ১২টার দিকে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ওবায়দুল কাদেরের হাতে ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ স্বর্ণপদক ক্রেস্ট তুলে দেন তাঁর ছোট ভাই বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা। এর আগে নিজ বাড়ির দরজায় পুলিশের গার্ড অব অনার শেষে বাবা-মায়ের কবর জিয়ারত করেন তিনি।
সেতুমন্ত্রীর ভাগনে ফখরুল ইসলাম রাহাত জানান, বিকেল ৩টার দিকে কাদের মির্জার প্রতিপক্ষ কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে উপজেলা ডাক বাংলোয় ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা বিনিময় করার কথা রয়েছে সেতুমন্ত্রীর।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন নোয়াখালীর জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান, নোয়াখালীর পুলিশ সুপার (এসপি) মো. শহীদুল ইসলাম প্রমূখ।
উল্লেখ্য,২০১৯ সালের পর দীর্ঘ প্রায় ৩৩ মাস পর নিজ নির্বচানী এলাকার কোম্পানীগঞ্জে আসেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। গত এক বছর নানা ঘটনায় সমালোচনায় পড়তে হয় কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দকে। আলোচনার সমালোচনার কেন্দ্র বিন্দুতে ছিলেন সেতুমন্ত্রীর ছোট ভাই বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা। তাঁর বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠছে সংগঠনের ভেতর থেকেই। বড় ভাই সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ও ভাবীর বিরুদ্ধে কুটিল ভাষায় ব্যাপক বিষেদগার করেন। বিতর্কিত কর্মকান্ডের কারণে বার বার খারাপ সংবাদের শিরোনাম হয় কাদের মির্জা। এতে স্থানীয় ভাবে সংগঠন পড়েছে বেজায় নাজুক অবস্থায়। স্থানীয় রাজনীতিকে কাদের মির্জা বিরোধী অংশের নেতৃত্ব দিচ্ছেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল। তাঁর মূলত খুঁটি হচ্ছে কাদের মির্জার আপন তিন ভাগনে। বাদল ও ভাগনেদের বিরুদ্ধেও কাদের মির্জাও নানা অভিযোগ তুলেন। একপর্যায়ে দুই গ্রুপের এ দ্বন্দ্ব সংঘাতে কাদের মির্জার প্রধান প্রতিপক্ষ হয়ে দাঁড়ায় তারই আপন তিন ভাগনে। সেই বিরোধের জের ধরে গত কয়েকমাসে উভয় পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে একাধিক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসব সংঘর্ষে একজন সাংবাদিকসহ দুই জন নিহত হয়। আহত হয় প্রায় এক হাজার নেতাকর্মি। পাল্টাপাল্টি ৭২টি মামলা হয়। এতে আসামি হয় উভয় পক্ষের প্রায় সাত হাজার তৃণমূলের নেতাকর্মি। এখনো বাড়ি ছাড়া রয়েছে হাজার হাজার নেতাকর্মি।