সরকারের পদত্যাগে একদফা আন্দোলনে সবাইকে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আসুন এ পদযাত্রার মধ্য দিয়ে আন্দোলনের নতুন মাত্রা যুক্ত করি, নতুন যাত্রা শুরু করি। এটা হচ্ছে বিজয়ের যাত্রা। এ যাত্রার মধ্য দিয়েই আমরা আমাদের একদফা দাবি আদায় করব। এই পদযাত্রাই হবে সরকারের বিদায়যাত্রা। মঙ্গলবার গাবতলীতে পদযাত্রা শুরুর পূর্বে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা আলমগীর বলেন, এ ভয়াবহ দানব বাংলাদেশের মানুষের ভোটের অধিকার হরণকারী সরকারকে বিদায় করতে ৩৬টি রাজনৈতিক দল একযোগে একদফা ঘোষণা করেছি। আজ সারাদেশে পদযাত্রা কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। এটা পদযাত্রা নয় এটা হচ্ছে জয়যাত্রা।
তিনি বলেন, ২০২৩ এর শেষে অথবা ২০২৪ এর শুরুতে নির্বাচন করবে বলে সরকার ঘোষণা দিয়েছে। শেখ হাসিনার অধীনেই সেই নির্বাচন করবে বলে জোর গলায় বলে যাচ্ছে। আমরা পরিষ্কার করে বলেছি, এই অবৈধ শেখ হাসিনার অধীনে কোনো নির্বাচন নয়। সোমবার নির্বাচন কমিশন ঢাকায় একটি উপনির্বাচনে ভোটের নামে তামাশা করেছে। নির্বাচনে ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে নিতে পারেনি। কেন্দ্র খালি, ফাঁকা। অথর্ব পঙ্গু নির্বাচন কমিশনের মতে, এতে ১১ শতাংশ ভোট পড়েছে। অথচ আমরা দেখলাম, কোথাও ভোটার নাই। হিরো আলমের মতো একজন প্রার্থীকে পিটিয়ে মেরে কেন্দ্র থেকে বের করে দিয়েছে। ১১ শতাংশ ভোট করার পরও বলছে, এটা শ্রেষ্ঠ নির্বাচন হয়েছে। এসব তামাশা করে লাভ হবে না। ২০১৪ ও ২০১৮ সালে করেছে। আর পারবে না।
অবিলম্বে সরকারকে পদত্যাগের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, যখন তত্ত্বাবধায় সরকারের অধীনে নির্বাচন করে ক্ষমতায় এসেছিল তখন খুব মজা লেগেছে। এখন জনগণ ক্ষমতায় আসতে চায়। তাই জনগণকে দাবি আদায় করে নিতে হবে। তিনি বলেন, এ সরকার ব্যবসায়ীদের নয়। অসৎ ব্যবসায়ীদের সরকার এটা। যারা জনগণের টাকা লুট করে নিচ্ছে।
নগর উত্তর বিএনপির আহবায়ক আমান উল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব আমিনুল হকের সঞ্চালনায় এতে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবেদীন ফারুক, আবদুস সালামসহ মহানগরীর নেতারা। মহাসচিবের বক্তব্যের পর শুরু হয় পদযাত্রা। বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পুরনো ঢাকার বাহাদুর শাহ পার্কে গিয়ে তা শেষ হবে।