ফরিদপুর প্রতিনিধি: ২৬ এপ্রিল বুধবার ফরিদপুরের মধুখালীতে নববর্ষ উদযাপন ও বৈশাখী মেলা পরিচালনা পরিষদের আয়োজনে পবিত্র ঈদ পরবর্তী বর্ষবরণ —১৪৩০ বাঙ্গাব্দ ও ৯ দিন ব্যাপি বৈশাখী মেলার উদ্বোধন ও র্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২৬ এপ্রিল বুধবার সকাল ৯ টায় পৌরসদরের পশ্চিম গাড়াখোলা বৈশাখী মেলা মাঠ প্রাঙ্গনে নববর্ষ উদযাপন ও বৈশাখী মেলা পরিচালনা পরিষদের সভাপতি এবং উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ শহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও মঞ্চ পরিচালনা উপকমিটির আহবায়ক মির্জা গোলাম ফারুকের সঞ্চালনায় মেলা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন স্থানীয় ব্যাক্তিবর্গ।
৯ দিন ব্যাপি বৈশাখী মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন নববর্ষ উদযাপন ও বৈশাখী মেলা পরিচালনা পরিষদের সভাপতি এবং উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ শহিদুল ইসলাম। উদ্বোধন পরবর্তী মেলা প্রাঙ্গন থেকে একটি র্যালি বের হয়ে চিনিকল সড়কসহ উপজেলার ঢাকা—খুলনা মহাসড়কের রেলগেট এলাকা প্রদক্ষিণ করে মেলা মাঠে প্রত্যাবর্তন করে । মেলায় প্রায় ৩ শাতাধিক বিভিন্ন স্টল বসেছে । মেলা চলবে ২৬ এপ্রিল থেকে ৪ মে ২০২৩ খ্রিঃ বৃহস্পতিবার পর্যন্ত। এদিকে মেলা উপলক্ষে ভিন্নমত পোশন করেছেন এলাকার সচেতন মহল, এস.এস.সি পরীক্ষার্থী ও অভিবাবকরা। তারা জানালেন আগামী ০২ মে সারা দেশে এস.এস.সি পরীক্ষা শুরু হতে যাচ্ছে বিষয়টি জানা সত্ত্বেও কিছু স্বার্থন্বেষী ব্যাক্তি কিছু অর্থ লাভের আশায় এই মেলার আয়োজন করেছে। মেলার পার্শ্ববতী স্থানীয় কালাম মোল্লা রেল গেট সংলগ্ন আবুল খায়ের, পৌরসভার স্থানীয় বাসিন্দা রফিক মৃধা , মধুখালী থানা সংলগ্ন আকবর আলীসহ একাধিক স্থানীয় জনতা জানান, আমাদের ধারনা বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে এই মেলা কতিবায় স্বার্থন্বেষী মহল মেলার আয়োজন করছে বলে ধারনা করেন। মধুখালী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. শহিদুল ইসলাম এর সাথে কথা হলে তিনি জানান মেলার বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রশাসক বরাবরা আবেদন করা হয়েছে কিন্তু এর কোন সুলাহা এখন পর্যন্ত হয় নি। এছাড়া মধুখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশিকুর রহমান চৌধুরীর সাথে কথা হলে তিনি জানান আমার জানা মতে, জেলা প্রশাসক মহোদয় বরাবর আবেদন করেছে মেলা কমিটি এবং জেলা প্রশাসক মহোদয় পুলিশ সুপার মহোদয়কে অগ্রবতীর্ করেছেন। অনুমতি না পেয়ে এই মেলার উদ্বোধন কি করে করল জানতে চাইলে তার উত্তরে ইউএনও জানান উপজেলা চেয়ারম্যান এই মেলার সভাপতি তার সাথে কথা বলতে বলেন। মধুখালী চেয়ারম্যান মো.শহিদুল ইসলাম এর সাথে কথা হলে তিনি জানান এই মেলার আবেদন করা হয়েছে কিন্তু অনুমোদন পায় নি। অনুমোদন না পেয়ে এই মেলা কিভাবে শুরু করলেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঐতিহ্যবাহী মেলা বলে কথা। মেলার চাইতে পরীক্ষা গুরুত্বপূর্ণ কিনি জানতে চাইলে তিনি পরীক্ষা গুরুত্বের কথা স্বীকার করে বলেন, বিষয়টি আমার খেয়াল ছিল না বলে এড়িয়ে যান তবে মেলা বন্ধের ব্যাপারে তিনি কিছুই জানান নি। এ ব্যাপারে ফরিদপুর পুলিশ সুপার মো.শাহজাহান (পিপিএম সেবা) এর সাথে কথা হলে তিনি জানান এই মেলার ব্যাপারে কোন অনুমোদন দেওয়া হয় নি।
মধুখালীর সচেতন মহল মনে করেন, মেলাটি দ্রুত বন্ধ ঘোষনা করে শিক্ষার্থীদের মনোযোগ মেলার মাঠ থেকে ফিরিয়ে আনার জন্য ফরিদপুরের শিক্ষা বান্ধব সুযোগ্য জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন মধুখালীর সচেতন মহল ও শিক্ষার্থীর অভিবাবকরা।