চলতি বছরের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষায় গড় পাসের হার ৯৩ দশমিক ৫৮। গতবার ছিল ৮২ দশমিক ৮৭ শতাংশ। আজ বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিকভাবে ফলাফল প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এরপর শিক্ষা বোর্ডগুলোর সূত্রে জানা গেছে, এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় গড় পাসের হার ৯৩ দশমিক ৫৮। এবার মোট পরীক্ষার্থী ছিল ২২ লাখ ৪০ হাজার ৩৯৫ জন। এর মধ্য উত্তীর্ণ হয়েছে ২০ লাখ ৯৬ হাজার ৫৪৬ জন।
অন্যদিকে ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে শুধু এসএসসি পরীক্ষায় গড় পাসের হার ৯৪ দশমিক শূন্য ৮।
যেভাবে ফলাফল জানা যাবে
আনুষ্ঠানিকভাবে ফলাফল প্রকাশের পর শিক্ষার্থীরা শিক্ষা বোর্ডগুলোর ওয়েবসাইট ও এসএমএসের মাধ্যমে ফল জানতে পারবে। এই ওয়েবসাইটে রোল নম্বর, রেজিস্ট্রেশন নম্বর, পরীক্ষার নাম, বছর ও শিক্ষা বোর্ড সিলেক্ট করে সাবমিট বাটনে ক্লিক করে ফল জানা যাবে।
এ ছাড়া মুঠোফোনে খুদে বার্তার মাধ্যমেও ফলাফল জানা যাবে। মুঠোফোনের মেসেজ অপশনে গিয়ে SSC লিখে স্পেস দিয়ে বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে আবার স্পেস দিয়ে পাসের বছর লিখে পাঠাতে হবে ১৬২২২ নম্বরে। উদাহরণ-SSC DHA 123456 2021 লিখে পাঠাতে হবে ১৬২২২ নম্বরে। ফিরতি এসএমএসে জানা যাবে ফল।
মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের জন্য DAKHIL লিখে স্পেস দিয়ে বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর লিখে আবার স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে পাসের সাল লিখে পাঠাতে হবে ১৬২২২ নম্বরে। উদাহরণ-DAKHIL MAD 123456 2021 লিখে পাঠাতে হবে ১৬২২২ নম্বরে। ফিরতি এসএমএসে জানা যাবে ফল।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে নির্ধারিত সময়ের সাড়ে আট মাস পর গত ১৪ নভেম্বর এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়, শেষ হয় ২৩ নভেম্বর। এ বছর এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থী ছিল প্রায় ২২ লাখ। গতবারের চেয়ে এবার পরীক্ষার্থী বেশি ছিল।
সামসুল হক খান স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীদের উল্লাস। ডেমরা, ৩০ ডিসেম্বরসামসুল হক খান স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীদের উল্লাস। ডেমরা, ৩০ ডিসেম্বর করোনার কারণে এবার ভিন্ন পরিস্থিতিতে ভিন্নভাবে অনুষ্ঠিত হয় এ পরীক্ষা। অন্যান্য বছরের মতো এবার সব বিষয়ের পরীক্ষা হয়নি। শুধু গ্রুপভিত্তিক (বিজ্ঞান, মানবিক, ব্যবসায় শিক্ষা ইত্যাদি) তিনটি বিষয়ে সময় ও নম্বর কমিয়ে এই পরীক্ষা হয়।
এবার অন্য আবশ্যিক বিষয় ও চতুর্থ বিষয়ের পরীক্ষা হয়নি। এসব বিষয়ে জেএসসি ও সমমানের পরীক্ষার নম্বরের ভিত্তিতে ‘ম্যাপিং’ করে নম্বর দেওয়া হয়।