বেসরকারি পর্যায়ে এলপিজির দাম প্রতিকেজি ৭৬ টাকা ১২ পয়সা ধরে ১২ কেজির সিলিন্ডারের দাম ৯৭৫ টাকা (মূসকসহ) নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সরকারি পর্যায়ে সাড়ে ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ৫৯১ টাকা (মূসকসহ) দাম নির্ধারণ করে বিইআরসি।
এছাড়া কমিশন প্রতি লিটার অটোগ্যাসের দাম ৪৭ দশমিক ৯২ টাকা নির্ধারণ করেছে। এই দাম আজ সোমাবর (১২ এপ্রিল) থেকে কার্যকর হবে। আজ এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) এই আদেশ দেন।
অনলাইনে করা এই সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, সাধারণত সৌদি সিপি (কনট্রাক্ট প্রাইস) অনুযায়ী দেশে এলপিজির দাম নির্ধারিত হয়। প্রতি মাসের শুরুতে যখন সৌদি সিপির দাম পরিবর্তন হবে, তখন কমিশন এলপিজির দাম পরিবর্তনের বিষয়ে নতুন করে আদেশ দেবে বলে জানিয়েছে কমিশনের চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল। এছাড়া সংবাদ সম্মেলনে কমিশনের সদস্য মোহাম্মদ আবু ফারুক, মকবুল ই ইলাহী, বজলুর রহমান, কামরুজ্জামান, সচিব রুবিনা ফেরদৌসীসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে কমিশনের আদেশ পড়ে শোনান চেয়ারম্যান। তিনি জানান, সরকার নির্ধারিত ইস্টার্ন রিফাইনারি (ইআরএল) বা রূপান্তরিত প্রাকৃতিক গ্যাস কোম্পানি লিমিটেড (আরপিজিসিএল) পর্যায়ে প্রতি ১২.৫ কেজি এলপিজির দাম ৩৫৭.৮৯ টাকা কে ভিত্তি করে সরকারি কোম্পানি এলপি গ্যাস লিমিটেডের (এলপিজিএল) সরবরাহ করা প্রতি ১২.৫ কেজি এলপিজির ভোক্তা পর্যায়ে দাম ৫৯১ টাকা পুনঃনির্ধারণ করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, মার্চের জন্য সৌদি আরামকো কর্তৃক প্রোপেন ও বিউটেনের ঘোষিত সৌদি সিপি যথাক্রমে প্রতি মেট্রিক টন ৬২৫ ডলার এবং ৫৯৫ ডলার অনুযায়ী প্রোপেন ও বিউটেনের মিশ্রণ অনুপাত ৩৫:৬৫ বিবেচনায় প্রোপেন ও বিউটেনের গড় সৌদি সিপি প্রতি মেট্রিক টন ৬০৫.৫০ ডলার বিবেচনা করে এই দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, এলপিজি হচ্ছে পেট্রোলিয়াম উপজাত প্রোপেন ও বিউটেনের সংমিশ্রণ। এটি ১০-১৫ বার চাপ দিয়ে তরল গ্যাসে রূপান্তর করা হয়। সাধারণ তাপমাত্রায় এটি গ্যাসীয় পদার্থে পরিণত হয়।
এদিকে বেসরকারি এলপিজি মজুতকরণ এ বোতলজাতকরণ লাইসেন্সিগুলোর সরবরাহ করা এলপিজির দাম মূসক ছাড়া প্রতিকেজি ৭৬ টাকা ১২ পয়সা এবং মূসকসহ ৮১ টাকা ৩০ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে। সে অনুযায়ী ভোক্তা পর্যায়ে প্রতি ১২ কেজি এলপিজির দাম ৯৭৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া ৫.৫, ১২.৫, ১৫, ১৬, ১৮, ২০, ২৫, ৩০, ৩৩, ৩৫ ও ৪৫ কেজি এলপিজির দামও বিইআরসি আদেশে পুনঃনির্ধারণ করা হয়েছে।
ইদানিং আবাসিক এ শিল্পে কেন্দ্রীয়ভাবে এলপিজি’র ব্যবহার শুরু হয়েছে। নতুন পদ্ধতিতে একসঙ্গে বাসা বা কারখানার নিচে বা পাশে বড় সিলিন্ডার থেকে এলপি গ্যাস ব্যবহার করা হচ্ছে। এই সিলিন্ডার থেকে পাইপলাইনের মাধ্যমে বাসায় বাসায় বা কারখানায় সরবরাহ করা হচ্ছে গ্যাস। এটির দামও কমিশন পুনঃনির্ধারণ করেছে। সম্মেলনে বলা হয়, এই রেটিকুলেটেড সিস্টেমে সরবরাহ করা এলপিজির দাম ভোক্তাপর্যায়ে মুসক ছাড়া প্রতিকেজি ৭৩ টাকা ৮৭ পয়সা এবং মূসকসহ ৭৯ টাকা ০১ পয়সা অথবা লিটার হিসেবে প্রতি লিটার মূসক ছাড়া ০ দশমিক ১৬৪১ টাকা এবং মূসকসহ প্রতি লিটার ০ দশমিক ১৭৫৬ টাকা পুনঃনির্ধারণ করেছে।