এভিয়েশনে কর্মরত মধ্যপ্রাচ্যের অন্তত ১৫ লাখ মানুষ চাকরি হারানোর আশঙ্কা করছে ইন্টারন্যাশনাল এয়ার ট্রান্সপাের্ট অ্যাসােসিয়েশন (আয়াটা)। যা সেখানকার মােট কর্মীসংখ্যার অর্ধেকেরও বেশি। আগের ধারণার চাইতে এই সংখ্যা ৩ লাখ বেড়েছে। আয়াটা সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করেছে।
খবরে বলা হয়েছে, মধ্যপ্রাচ্যের অর্থনীতি এবং বিমান পরিবহন শিল্পের উপর কোভিড-১৯ মহামারীর প্রভাব ব্যাপকভাবে পড়েছে।।আগের অনুমানে আয়াটা বলেছিল ২০২০ সালে বিমান চলাচল ২০১৯ সালের তুলনায় ৫১ শতাংশ কমে যাবে। তবে এই অনুমান থেকে সরে এসে তারা জানিয়েছে তা ৫৬ শতাংশ পতন হবে। তারা বলছে, মধ্যপ্রাচ্যের বিমান পরিবহনের সাথে সম্পৃক্ত জিডিপি ৮৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার পর্যন্ত কমে যেতে পারে। যা আগের অনুমানে মােটে ৬৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। আয়াটার আফ্রিকা এবং মধ্যপ্রাচ্যের আঞ্চলিক ভাইস প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদ আল বাকরি বলেন, করোনায় মধ্যপ্রাচ্যের অর্থনীতির সূচক নেমে এসেছে। বিমান চলাচল আবার প্রতিষ্ঠিত না হলে, আর্থ-সামাজিক প্রভাব আরও খারাপের দিকে যাবে।
এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের জন্য শিগগির এই শিল্প নিরাপদে পুনরায় চালু করা জরুরি। তিনি বলেন, কর্মসংস্থান এবং বৃহত্তর মধ্যপ্রাচ্য অর্থনীতি চাঙ্গা করতে অঞ্চলজুড়ে বিমান পরিবহন দ্রুত চালু করা সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার হওয়া উচিত। সে লক্ষ্যে তাদের আন্তর্জাতিক বেসামরিক বিমান পরিবহন সংস্থার নির্দেশনা মেনে বৈশ্বিক জৈব নিরাপত্তার বিষয়গুলি নিশ্চিত করে তা বাস্তবায়ন করা উচিত। এক্ষেত্রে আর্থিক প্রণােদনা, ভর্তুকি এবং কর থেকে অব্যাহতির মত বিষয়গুলো বিশেষ গুরুত্ব পাবে। আল বাকরি বলেন, এভিয়েশনকে অনুদান দেয়ার জন্য সরকারের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ। যতদিন পর্যন্ত পরিস্থিতি ভালাে হচ্ছে না ততদিন সরকারকে এই অনুদান চালিয়ে যেতে হবে।