মাগুরার মহম্মদপুর পজেলার পলাশবাড়িয়া ইউনিয়নের বনগ্রামের বাসিন্দা পবিত্র কুমার বিশ্বাস। নিজ ঘরে ব্যবহার করেন একটি বাল্ব ও একটি ফ্যান। এতে গত দুই মাসে তার বিদ্যুৎ বিল এসেছে ৩৫০ ও ২৮৩ টাকা। কিন্তু চলতি মাসে সে বিল এক লাফে পৌঁছেছে পৌনে পাঁচ লাখে।
বুধবার সকালে মার্চ মাসের বিদ্যুৎ বিলের কপি হাতে পেয়ে চোখ কপালে উঠেছে পবিত্র কুমার বিশ্বাসের। একটি বাল্ব ও একটি ফ্যানের বিল এক মাসে চার লাখ ৭৩ হাজার ৭৫১ টাকা!
পবিত্র কুমারের বৃদ্ধ মা মিরা রানি বলেন, আমার তিন ছেলেই কর্মসূত্রে বাড়ির বাইরে থাকে। বাড়িতে আমি ও একজন গৃহকর্মী ছাড়া আর কেউ নেই। পৌনে পাঁচ লাখ টাকা বিদ্যুৎ বিল দেখে আমি তো জ্ঞান হারাতে বসেছিলাম।
পলাশবাড়িয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান এম. রেজাউল করিম চুন্নু বলেন, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির বিরুদ্ধে ভৌতিক ও আজগুবি বিল তৈরির অভিযোগ দীর্ঘদিনের। মিটার না দেখেই মনগড়া বিল লিখে নিয়ে যায় পল্লী বিদ্যুতের কর্মীরা। তাদের দায়িত্বে অবহেলার কারণে গ্রাহকদের পোহাতে হয় নিদারুণ দুর্ভোগ।
তিনি আরো বলেন, অনেক গ্রাহক লাইন কেটে দেয়ার ভয়ে ভুতুড়ে বিলই পরিশোধ করেন। এ কারণেই পল্লী বিদ্যুত সমিতির লোকেরা প্রশ্রয় পেয়ে বারবার ভুতুড়ে বিল তৈরি করে।
পল্লী বিদ্যুতের মহম্মদপুর সাব-জোনাল অফিসের সহকারী মহাব্যবস্থাপক রেজাউল করিম বলেন, কম্পিউটার পোস্টিং দেয়ার সময় ভুল হয়েছে। বিলের কপি নিয়ে এলে সংশোধন করে দেয়া হবে।