সফলতার এক দশক পেরিয়ে একাদশ বর্ষে পদার্পণ করেছে দেশের চতুর্থ প্রজন্মের বেসরকারি খাতের জীবন বীমা প্রতিষ্ঠান জেনিথ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড। সবার জন্য সুরক্ষিত, নিরাপদ ও সুনিশ্চিত ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার লক্ষ্যে ২০১৩ সালের ১১ আগস্ট আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে কোম্পানিটি।
অগ্রযাত্রার এই ১০ বছরে গ্রাহকদের আস্থা কুড়াতে বেশ সফলতা দেখিয়েছে জেনিথ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স। সন্তোষজনক গ্রাহক সেবার পাশাপাশি কোম্পানিটি এরইমধ্যে ‘শক্তিশালী’ অর্থনৈতিক ভিত্তিও রচনা করেছে। গৌরবময় এই ১০ বছরে কোম্পানিটির পালকে যুক্ত হয়েছে নানান সম্মাননা।
বর্তমানে প্রায় ১ লাখ ৩৭ হাজারেরও বেশি গ্রাহককে স্বাস্থ্য ও জীবন বীমার আওতায় সেবা প্রদান করছে জেনিথ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স। এর মধ্যে আংশিক মেয়াদপূর্তি ও মেয়াদপূর্তি বাবদ প্রায় ১৪ কোটি ২৬ লক্ষ টাকারও বেশি বীমা দাবি পরিশোধ করেছে।
মৃত্যুদাবি বাবদ প্রায় ১ কোটি ৫৬ লক্ষ টাকারও বেশি এবং স্বাস্থ্য বীমা দাবি বাবদ প্রায় ৮২লক্ষ টাকারও বেশী পরিশোধ করে। প্রতিষ্ঠার ১০ বছরে প্রায় ১৮ কোটি টাকারও বেশী বিভিন্ন বীমা দাবি পরিশোধ করেছে চতুর্থ প্রজন্মের লাইফ বীমা কোম্পানি জেনিথ লাইফ ইন্স্যুরেন্স। দেশব্যাপী ৫৫ টি শাখা অফিস এবং প্রায় ১৩ হাজার দক্ষ ও অভিজ্ঞ কর্মকর্তা ও কর্মীবাহিনীতে সমৃদ্ধ হয়েছে এই লাইফ বীমা কোম্পানি।
এক দশকপূর্তি উপলক্ষ্যে জেনিথ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজন করা হয় গৌরবগাথার ১০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠান।
অনুষ্ঠানে কোম্পানিটির মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম নুরুজ্জামান তার বক্তব্যে আগামীর অনুপ্রেরণা ও সকল ইতিবাচক পরিবর্তনে তাদের মূল্যবান দিক-নির্দেশনাসহ ফলপ্রসূ ভূমিকা এবং কোম্পানির সাফল্যমণ্ডিত সার্বিক অগ্রযাত্রা তুলে ধরেন।
জেনিথ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের সম্মানিত গ্রাহক, পৃষ্ঠপোষক ও শুভানুধ্যায়ীদের সর্বাত্মক সহযোগিতা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশের মধ্য দিয়ে সম্পন্ন হয় এই বিশেষ অনুষ্ঠান। আগামীতেও স্বপ্ন ও সম্ভাবনার মেলবন্ধনের মধ্য দিয়ে কার্যকরী বীমা সেবা সবার কাছে পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে কাজ করে যেতে জেনিথ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ও সবসময় নিবেদিত।
কোম্পানি কর্তৃপক্ষ জানায়, বর্তমানে ৭ কর্মদিবসের মধ্যে বীমা দাবি পরিশোধ করা হচ্ছে। ঢাকা ব্যাংক ও মার্কেন্টাইল ব্যাংকের পাশাপাশি নগদের মাধ্যমে সরাসরি প্রিমিয়াম জমা দেওয়া যাচ্ছে। ইআরপি সফটওয়্যার মধ্যেমে পরিচালিত কোম্পানিটির রাজশাহী, জাহাঙ্গীরনগর, শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়সহ ১০০ গ্রুপ বীমা করেছে।