![InShot_20221108_135441433](https://banglaexpressonline.com/wp-content/uploads/2022/11/InShot_20221108_135441433.jpg)
অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় ৩ হাজার ৯৮১ কোটি ৮৯ টাকা ব্যয়ে ৭ প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) অনুষ্ঠিত একনেক সভায় এ অনুমোদন দেয়া হয়। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এনইসি সম্মেলনকক্ষের সঙ্গে যুক্ত হয়ে সভার সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় এনইসি সম্মেলনকক্ষে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও সচিবরা উপস্থিত ছিলেন।
সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান সংবাদ সম্মেলনে বলেন, একনেকে সভায় ৩ হাজার ৯৮১ কোটি ৮৯ টাকা ব্যয়ে ৭টি প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ৩ হাজার ৩৯২ কোটি ৩৩ লাখ টাকা, বৈদেশিক অর্থায়ন ৩২২ কোটি ২১ লাখ টাকা ও সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ২৬৭ কোটি ৩৫ লাখ টাকা।
তিনি আরও বলেন, অনুমোদিত প্রকল্পগুলোর মধ্যে নতুন প্রকল্প ৪টি এবং বাকি ৩টি সংশোধিত প্রকল্প।
অনুমোদিত প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে- নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের ‘চট্টগ্রামের মিরসরাই ও সন্দ্বীপ, কক্সবাজারের সোনাদিয়া দ্বীপ টেকনাফ সাবরাং ও জালিয়ার দ্বীপ অংশের জোটসহ আনুষঙ্গিক স্থাপনাদি নির্মাণ’ প্রকল্প;
স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের ‘ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন এলাকায় অঞ্চল-২ ও অঞ্চল-৪ এর ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক অবকাঠামোসহ অঞ্চল-২ -ও অঞ্চল-৪ এর সার্ভিস প্যাসেজগুলোর উন্নয়ন’ প্রকল্প;
গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালের ‘বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ ভবন এলাকার বৈদ্যুতিক যান্ত্রিক ও নিরাপত্তা ব্যবস্থাসহ জন্যান্য উন্নয়ন কাজ’ প্রকল্প;
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের ‘বারৈয়ারহাট-হেঁয়াকো রামগড় সড়ক প্রশস্তকরণ (১ম সংশোধিত)’ প্রকল্প; একই মন্ত্রণালয়ের নবীনগর-আশুগঞ্জ সড়ক উন্নয়ন (জেড-২০৩১) (১ম সংশোধিত)’ প্রকল্প; এবং কৃষি মন্ত্রণালয়ের ‘দিনাজপুর অঞ্চলে টেকসই কৃষি উন্নয়ন’ প্রকল্প।
তাছাড়া ব্যয় ঠিক রেখে মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছে- গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের একটি ‘খুলনা শিপইয়ার্ড সড়ক প্রশস্তকরণ ও উন্নয়ন (১ম সংশোধিত)’ প্রকল্প; স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি এবং ‘বরিশাল মেট্রোপলিটন ও খুলনা জেলা পুলিশ লাইন নির্মাণ (আন্তঃখাত সমন্বয়কৃত)’ প্রকল্প; স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ‘শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজ, মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং নার্সিং কলেজ স্থাপন (২য় সংশোধিত)’ প্রকল্প এবং বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ‘চট্টগ্রাম অঞ্চলের বিদ্যুৎ সঞ্চালন ব্যবস্থার সম্প্রসারণ ও শক্তিশালীকরণ (১ম সংশোধিত)’ প্রকল্প।
মূল্যস্ফীতির বিষয়ে এম এ মান্নান বলেন, সেপ্টেম্বর মাসের মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ১ শতাংশ, তা অক্টোবরে দশমিক ২ শতাংশ কমেছে। অক্টোবরে দেশের মূল্যস্ফীতি ছিল ৮ দশমিক ৯১ শতাংশ।
প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন তুলে ধরে তিনি বলেন, উন্নয়নমুখী ছোট প্রকল্প চলবে, তবে নতুন করে কোনো বড় প্রকল্প নেয়া হবে না।
এছাড়া বিলাসপণ্য ব্যবহার করা যাবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, কৃষিতে গুরুত্ব দিতে হবে। এক ইঞ্চি জমিও ফেলে রাখা যাবে না।