চিলির বিপক্ষে আরও এক বার হতাশা নিয়ে মাঠ ছেড়েছে আর্জেন্টিনা। বাছাই পর্বের ম্যাচে ড্র করার পর কোপা আমেরিকায় নিজেদের প্রথম ম্যাচেও পয়েন্ট খোয়াতে হয় দলটিকে। অথচ লিওনেল মেসির অসাধারণ এক ফ্রি কিক গোলে এগিয়ে গিয়েছিল তারা। তবে দলীয়ভাবে হতাশার দিন কাটালেও এদিন তিনটি নতুন রেকর্ড গড়েছেন অধিনায়ক মেসি।
মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় ভোরে ব্রাজিলের রিও দি জেনেইরোতে ‘বি’ গ্রুপের ম্যাচে চিলির সঙ্গে ১-১ গোলের সমতা নিয়ে মাঠ ছাড়ে আর্জেন্টিনা। ম্যাচের ৩৩তম মিনিটে মেসির গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর ৫৮তম মিনিটে সমতায় ফেরে চিলি। ভিদালের স্পট-কিক গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্তিনেজ ঠেকালেও ফিরতি বলে লক্ষ্যভেদ করেন এদুয়ার্দো ভারগাস।
তবে দারুণ সেই ফ্রি কিক গোলে দুটি নতুন রেকর্ড গড়েন মেসি। প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে এখন দেশের হয়ে মেসিই সর্বোচ্চ গোলদাতা। এর আগে পূর্বসূরি গ্যাব্রিয়েল বাতিস্তুতার রেকর্ডটি স্পর্শ করেছিলেন মেসি। এদিন সেই ফ্রিকিক গোলে বাতিগোলকে ছাড়িয়ে যান আর্জেন্টাইন অধিনায়ক।
এদিনের গোল নিয়ে প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে ৩৯টি গোল হলো মেসির। মোট ৯৮টি ম্যাচ খেলে এ গোলগুলো করেছেন এ তারকা।। যার ছয়টি এসেছে বিশ্বকাপে, ২৩টি বাছাই পর্বে এবং ১০টি কোপা আমেরিকায়। বাতিস্তুতার গোল সংখ্যা ৩৮টি।
এছাড়া আরও একটি ঐতিহাসিক রেকর্ড গড়েছেন মেসি। এতোদিন আর্জেন্টিনার হয়ে আমেরিকো তেসোরিয়েরে ছিলেন একমাত্র খেলোয়াড় যিনি খেলেছিলেন ছয় কোপা আমেরিকায়। ১৯২০, ১৯২১, ১৯২২, ১৯২৩, ১৯২৪ ও ১৯২৫ সালের কোপায় অংশ নিয়েছিলেন এ সাবেক গোলরক্ষক। আর মেসি ২০০৭, ২০১১, ২০১৫, ২০১৬, ২০১৯ ও ২০২১ সালের কোপায় অংশ নিয়ে এ রেকর্ড স্পর্শ করেন।
এছাড়া সময়ের অন্যতম সেরা প্রতিদ্বন্দ্বী ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোকেও ছাড়িয়েছেন মেসি। ফ্রি কিক গোলের এতো দিন রোনালদোর সমান ৫৬টি গোল ছিল তার। এদিন ৫৭তম ফ্রি কিক গোল পেলেন এ বার্সেলোনা তারকা।