
খালেদা জিয়ার মুক্তিসহ সরকার পদত্যাগের একদফার দাবিতে ছয় ঘণ্টার অনশনে বসেছে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল। নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচে এই অনশন শুরু হয়েছে সকাল ১১টায়। দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী মুক্তিযোদ্ধাদের এই কর্মসূচির শুরুতে অংশ নেন।
মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সালাম, জয়নুল আবদিন ফারুক, জয়নাল আবেদীন ভিপি জয়নাল, শাহজাদা মিয়াসহ সারাদেশ থেকে আসা দেড় শতাধিক মুক্তিযোদ্ধা এই অনশনে অংশ নেন।
অনশনে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক জয়নাল আবেদীনসহ কেন্দ্রীয় নেতারাও ছিলেন।
মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাতের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সাদেক আহমেদ খানের সঞ্চালনায় বিভিন্ন জেলা থেকে আসা প্রবীণ মুক্তিযোদ্ধারা বক্তব্য দিচ্ছেন। রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘আজকে রণাঙ্গনের বীর মুক্তিযোদ্ধারা এখানে সকাল-সন্ধ্যা অনশনে কর্মসূচি পালন করছেন। আমি বলব এটা শুধু অভূতপূর্ব দৃশই নয়, এটা ওই তরুণ বয়সে যারা মাতৃভূমির মুক্তির জন্য, দেশকে মুক্ত করার জন্য স্কুল-কলেজ থেকে ছুটে গিয়ে হাতে অস্ত্র নিয়ে যুদ্ধ করেছেন তারাই এখানে সারা দিন অনশনে বসেছেন দেশনেত্রীর মুক্তির জন্য, সরকার পতনের একদফার জন্য।
রিজভী বলেন, এখানে সব দেশবরণ্য মুক্তিযোদ্ধারা আছেন। প্রত্যেকেই রণাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধা। এই রণাঙ্গনে মুক্তিযোদ্ধা আওয়ামী লীগে পাবেন না। তারা হলেন মুখে খৈ ফুটানোর মুক্তিযোদ্ধা, তারা হলেন গায়ের জোরের মুক্তিযোদ্ধা- তারা রণাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধা নন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী গণতন্ত্রকে কবর দিয়ে, মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে হত্যা করে, দেশে মানুষের কণ্ঠরোধ করে মুক্তিযুদ্ধ মুক্তিযুদ্ধ করছেন।
বিকালে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মুক্তিযোদ্ধাদের অনশন ভাঙাবেন বলে জানান মুক্তিযোদ্ধা দলের সাধারণ সম্পাদক সাদেক আহমেদ খান।