করোনা আতঙ্ক অব্যাহত। অনেকটাই বদল এসেছে জীবনযাপনে। বিশেষ করে সর্দি-কাশির ধাত যাঁদের রয়েছে, তাঁদের ক্ষেত্রে নানা রকম ঘরোয়া টোটকার নিদান দিচ্ছে আয়ুর্বেদ। আদা, গোলমরিচ, দারচিনি এসবই রয়েছে সেই টোটকার মধ্যে। কিন্তু একটা বিশেষ গাছের শিকড় দিয়ে কি জব্দ রাখা যেতে পারে এই মারণ ভাইরাসকে?
আয়ুর্বেদ চিকিৎসক বাদল জানা বলেন, ‘’যষ্টিমধু একটা গাছের শিকড়। এটি গলায় একটা সুদিং এফেক্ট দেয়। খানিকটা হলেও কফের সমস্যা দূর করে। উপশমে সাহায্য করে অর্থাৎ হিলিং প্রপার্টি রয়েছে। সেক্ষেত্রে গলায় রাখা যেতে পারে।’’
শ্বাসনালী পরিষ্কার রাখতে বা হালকা সর্দি-কাশি হলে লিকোরিস অর্থাৎ যষ্টিমধু ব্যবহার করা যেতেই পারে। যষ্টিমধু অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি এবং অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল অর্থাৎ প্রদাহ সারাতে এবং ব্যাকটিরিয়া বা জীবাণুনাশ করতে সাহায্য করে।তবে করোনা আটকানো যাবে না এই শিকড়ের মাধ্যমে।
যষ্টিমধুতে থাকে গ্লাইসিরজ়িন। এটি হাঁপানির চিকিৎসায়, চোখের সমস্যায়, পেপটিক আলসারে বর্তমানে ব্যবহার করেন আয়ুর্বেদ চিকিৎসকরা। ল্যান্সেটে প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্র বলছে, ৬০ জন পূর্ণবয়স্ক মানুষের উপর ১৪ দিনের একটি পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ওরাল মিউকোসাইটিসে এই শিকড় কার্যকর।
ফুসফুসে সংক্রমণ, শ্বাসকষ্ট ঠেকাতে কণ্ঠের যত্ন, বিশেষ ক্ষেত্রে গরম পানীয় পান করার নিদান দিয়েছেন চিকিৎসকরা। সেক্ষেত্রে যষ্টিমধুর শিকড় চায়ের মধ্যে ব্যবহার করা যেতে পারে। শিকড়টি ভাল করে ধুয়ে সামান্য অংশ মুখে রাখলে গলায় একটা ‘সুদিং এফেক্ট’ আসবে।কিন্তু ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে নিয়মিত মাস্ক ও স্যানিটাইজারের ব্যবহার, সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতেই হবে। এড়াতে হবে ভিড়। তবেই দূরে থাকবে করোনা।