কুমিল্লা প্রতিনিধি: আসন্ন উচ্চ মাধ্যমিক (এইচএসসি) পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়া দাবিতে কুমিল্লায় মানববন্ধন এবং বিক্ষোভ করেছে কয়েকটি কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টায় নগরীর কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। পরে, সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে পরীক্ষা পেছানোর দাবিতে কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. মু. আসাদুজ্জানের নিকট স্মারক লিপি জমা দেওয়া হয়।
পরে, দুপুর ১ টায় মানববন্ধনের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা পেছানোর দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে একটি র্যালি বের করে। র্যালিটি নগরের কান্দিরপাড় পূবালী চত্বর হয়ে, ভিক্টোরিয়া কলেজের সামনে প্রদক্ষিণ করে আবারো কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের সামনে ফিরে আসে।
মানববন্ধন চলাকালে সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী বক্তব্য রাখেন।
এ সময় শিক্ষার্থীরা বলেন, ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা সম্পূর্ণ সিলেবাসের প্রস্তুতি নিয়ে ১৭ মাস পর পরীক্ষা দিয়েছে। তাহলে আমরা ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা কেন ১৫ মাস পর দিবো। আমাদের দাবি এসএসসি পরীক্ষা দুই মাস পিছিয়ে দিতে হবে। আমাদের দাবি যদি না মানা হয় আমরা পরীক্ষায় বসবো না। ঘূর্ণিঝড়, রাজনৈতিক অস্থিরতা সহ বিভিন্ন কারণে আমাদের শ্রেনী কার্যক্রমে ব্যাঘাত ঘটেছে। আমরা আমাদের সিলেবাসটুকু ঠিক ভাবে শেষ করতে পারেনি। তাহলে কেন এত দ্রুত আমাদের পরীক্ষা নেওয়া হবে। এখনো বেশিরভাগ কলেজগুলোতে মডেল টেস্ট চলছে। এক মাসও আমাদের হাতে নাই।
তারা আরও বলেন, এখনো পরীক্ষা দিতেই হয় তাহলে আমাদের নিজেদেরকে পূর্ণাঙ্গ রিভাইস দেওয়ার জন্য দুই মাস সময় দেওয়া হোক। এছাড়াও এই বছর বাংলাদেশের রেকর্ড করা তাপমাত্রা ছিল এবং অতিরিক্ত লোডশেডিং হয়েছিল। এত সমস্যার মুখোমুখি হয়ে এই অল্প সময়ে এতটুকু সিলেবাস শেষ করে আমাদের পক্ষে সম্ভব না। কলেজগুলো সিলেবাস শেষ না করেই একের পর এক পরীক্ষা নিয়ে যাচ্ছে। এছাড়াও ঘূর্ণিঝড়ের কারণে ২ কোটি ৬৬ লাখ মানুষের বাসায় বিদ্যুৎ নেই। সেই শিক্ষার্থীগুলো কিভাবে প্রিপারেশন নিবে। আমরা চাই পরীক্ষা আরো দুইমাস পিছিয়ে নেওয়া হোক।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. মু. আসাদুজ্জামান বলেন, আমি শিক্ষার্থীদের স্মারক লিপিটি গ্রহণ করেছি। এটি আমি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট পাঠাবো। এটা জাতীয়ভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কর্তৃপক্ষ যে সিদ্ধান্ত দিবে সে অনুযায়ী বাস্তবায়ন হবে।