উড়ন্ত বিমানে যদি মৃত্যু হয় তাহলে কী হতে পারে সে বিষয়ে কখনো ভেবে দেখেছেন? যদিও এ ঘটনা কালেভদ্রে ঘটে থাকে। তবে যখন বিমানের যাত্রীরা এ ঘটনার মুখোমুখি হয় তখন তাদের অনুভূতি কেমন হয়? যদিও কম বেশি সব বিমানে ফাস্ট এইড বক্স থাকে এবং সব ক্রুরা প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত থাকেন।
রায়ান এয়ারের মুখপাত্র সংবাদপত্র দ্যা সানকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘রায়ান এয়ারে ফাস্ট এইডের সব উপকরণ থাকে আর কোন যাত্রীর শারীরিক সমস্যা হলে নিকটস্থ এয়ারপোর্ট বিমান ল্যান্ড করা হয়। কেউ মারা গেলে সেক্ষেত্রে ল্যান্ড করার পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত তাকে ভালোভাবে ঢেকে খালি জায়গা বা বিজনেস ক্লাসে রাখা হয়। ’
তবে যারা এই দৃশ্য নিজের চোখে দেখেন তাদের কী হয়? এই নিয়ে জনৈক এক ব্যক্তি তার অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি আমার স্বামীর সাথে নিউজিল্যান্ড যাচ্ছিলাম বিমানের বিজনেস ক্লাসে করে। বিমানের ওঠার পর একটা পর্যায়ে আমরা ঘুমিয়ে যাই।
তারপর ঘুম থেকে ওঠার পর আমার স্বামীকে যখন ডাক দেই তখন সে ওঠে না, তারপর বিমানের ক্রুকে জানানোর পর যাত্রীদের মধ্যে একজন চিকিৎসক আমোর স্বামীকে স্বাভাবিক কিছু পরীক্ষা করে দেখেন তিনি মারা গেছেন। এরপর ওই সিটেই তাকে কম্বল দিয়ে মুড়ে দেওয়া হয়। আমি তার পাশে শুয়ে পড়ি এবং তাকে ধরে রাখি। এর চার ঘণ্টা পর বিমান ল্যান্ড করে।
পরে আমার স্বামীর মৃত্যু সনদে মৃত্যুর স্থান লেখা হয় ফ্লাইট এনজেডফাইভ।’ বিমানের মৃত্যু নিয়ে আরেকজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান,‘বিমানে আমার দুই সারি আগে বসে ছিলো এক নারী আর আমাদের ১১ ঘণ্টার ফ্লাইট ছলো ফ্র্যাংকফ্রুট থেকে সিঙ্গাপুর। যাত্রাপথে ওই নারীর মৃত্যু হয়। এরপর কম্বল দিয়ে ওই যাত্রীকে ঢেকে দেওয়া হয়। তবে শুধু মাত্র মুখ খোলা রাখা হয়। ’