বগুড়ার কাহালু পৌরসভার সাবেক মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি হেলাল উদ্দিন কবিরাজসহ দু’জনকে মারধরের অভিযোগে উঠেছে।
ভুক্তভোগী হেলাল উদ্দিন কবিরাজ শুক্রবার এ অভিযোগে কাহালু থানায় বিএনপি নেতাসহ আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠনের ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।
এ ঘটনায় পুলিশ উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান রাজিবকে গ্রেফতার করেছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, কাহালু পৌরসভায় ২০১৯-২০ অর্থ বছরে নগর উন্নয়ন কাজে নানা অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে।
অভিযোগের পর বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এলজিইডির একটি টিম পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের উলট্ট গ্রামে একটি কাজ পরিদর্শনে যান।
সেখানে পৌরসভার বিএনপি সমর্থিত মেয়র আবদুল মান্নান, তার ভাগ্নে প্যানেল মেয়র ইউসুফ আলী, সাবেক মেয়র উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হেলাল উদ্দিন কবিরাজ, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা সাইফুল ইসলাম, ঠিকাদার নুরুল ইসলাম বিষু ও তার লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
কাজে ভুল ধরা নিয়ে বর্তমান ও সাবেক মেয়রের লোকজনের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। তখন ঠিকাদারের পক্ষ নিয়ে যুবলীগ নেতা মেহেদী হাসান রাজিবের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ নেতা হেলাল কবিরাজ ও সাইফুল ইসলামকে মারধর করা হয়। তারা হাসপাতালে চিকিৎসা নেন।
পরে হেলাল সমর্থকরা যুবলীগ নেতা রাজিবকে মারধর করেন। পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে আহত রাজিবকে আটক করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করে।
সাবেক মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি হেলাল উদ্দিন কবিরাজ অভিযোগ করে বলেন, বর্তমান বিএনপি সমর্থিত মেয়র আবদুল মান্নান ও তার ভাগ্নে প্যানেল মেয়র ইউসুফ আলীর ইন্ধনে উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান রাজিবের নেতৃত্বে আমাদের ওপর হামলা হয়।
তবে মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করে কাহালু পৌরসভার বিএনপি সমর্থিত মেয়র আবদুল মান্নান বলেন, নির্বাচনে পরাজিত হবার পর থেকে সাবেক মেয়র আওয়ামী লীগ নেতা হেলাল উদ্দিন কবিরাজ পৌরসভার উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত করার জন্য বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত টিম আসে। সেখানে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করলে ঠিকাদারের সঙ্গে তার বাকবিতণ্ডা হয়। কাউকে মারধরের সঙ্গে তিনি বা তার লোকজন জড়িত নয়।
কাহালু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমবার হোসেন বলেন, মারধরের ঘটনায় হেলাল কবিরাজ বাদি হয়ে বিএনপি সমর্থিত মেয়র আবদুল মান্নান, প্যানেল মেয়র ইউসুফ আলী, যুবলীগ নেতা রাজিবসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। আটক যুবলীগ নেতা রাজিবকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে বাকিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।