সীমান্তে উত্তেজনার মধ্যেই চীন ও ভারতের মধ্যে উচ্চ পর্যায়ের সামরিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ভারতের পক্ষে নেতৃত্ব দেবেন ১৪ কোরের কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল হরিন্দর সিং। খবর এনডিটিভির।
আগামী শনিবার (৬ জুন) দুই দেশের সীমান্তবর্তী পশ্চিম লাদাখের সেনা ছাউনি চুশুল মলডোতে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
ভারতের পক্ষ থেকে চীনকে বৈঠকের প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল।এতে চীনের পক্ষ থেকে সাড়া মেলে।
এদিকে কলাকাতার প্রভাবশালী সংবাদ মাধ্যম আনন্দ বাজার পত্রিকা বলছে, বৈঠকের আগে সদর্থক বার্তা দিয়েছে চীন। লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় উত্তেজনা কমাতে দই পক্ষই কিছুটা নমনীয় অবস্থান নিতে পারে বলে মনে করছেন কূটনৈতিক ও সামরিক বিশেষজ্ঞরা। যদিও একটি অংশের মতে, ডোকালামের মতো কয়েক মাস ধরে এই সেনা মোতায়েন এবং তার জেরে উত্তেজনার পরিস্থিতি বজায় থাকতে পারে লাদাখ সীমান্তে।
খবরে বলা হচ্ছে, ২০১৭ সালে ডোকালামের পর ভারত-চীনের কোনো সীমান্তে আর এত বড় সেনা মোতায়েন হয়নি। মে মাসের শেষের দিকে লাদাখে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর হঠাৎ চীনা সেনাবাহিনীর তৎপরতা বেড়ে যাওয়ার পর থেকেই নয়াদিল্লি-বেজিং সম্পর্ক উত্তপ্ত হতে থাকে।
সম্প্রতি দেশ দুটির মধ্যে দুই দফায় হাতাহাতি ও সংঘাতের পর গালওয়ান উপত্যকায় প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর বিপুল সেনা মোতায়েন করে চীন। পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে ভারতও সেনা মোতায়েন করে যথাযথ জবাব দেয়ার হুমকি দিয়েছে।
এদিকে সোমবার চীনা সেনাবাহিনী ভারতীয় সীমান্তে উত্তেজনা সৃষ্টি করে দিল্লির ওপর চাপ প্রয়োগের চেষ্টায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে মার্কিন কংগ্রেসের পররাষ্ট্র বিষয়ক কমিটির প্রধান ইলিয়ট এল এঙ্গেল।
এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা ধরে যেভাবে ভারতের বিরুদ্ধে চীন আগ্রাসন নীতি নিয়েছে তাতে যুক্তরাষ্ট্র অত্যন্ত উদ্বিগ্ন। তিনি বেইজিংকে সীমান্ত রেখা লঙ্ঘন না করার জন্য নিয়ম-নীতি মেনে চলা ও কূটনীতির মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের জন্য আহ্বান জানান।