সার্বিক অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে তুরস্ক এক চুল ছাড়া দিবে না গ্রীসকে। তেল-গ্যাস অনুসন্ধানের সঙ্গে সঙ্গে এবার সামরিক মহড়াও শুরু করেছে উত্তর সাইপ্রাসে।
সাইপ্রাস দুটি ভাগে বিভক্ত। একটি অংশ গিয়েছে দক্ষিণে গ্রিসের দিকে। একে বলা হয় গ্রিক সাইপ্রিয়ট। অন্য অংশ পড়েছে উত্তরে তুরস্কের দিকে। একে বলা হয় তার্কিশ সাইপ্রিয়ট। উত্তরে ১৯৭৪ সালে কয়েক লাখ সেনা মোতায়েন রেখেছে তুরস্ক। সেই নর্দান সাইপ্রাসে বার্ষিক সামরিক মহড়া শুরু করেছে তুরস্কের সেনাবাহিনী। পূর্ব ভূমধ্যসাগরে গ্রিসের সঙ্গে যখন আঙ্কারার উত্তেজনা ক্রমশ বাড়ছে তখন রোববার থেকে এই মহড়া শুরু করেছে তুরস্ক।
ভূমধ্যসাগরে এমন সব জলসীমায় তুরস্ক তেল ও গ্যাস ক্ষেত্রের সন্ধান করছে, যার মালিকানা দাবি করে গ্রিস। এ নিয়ে ন্যাটোর সদস্য এই দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কে মারাত্মক টান ধরেছে। ঠিক এমন সময়ে ‘মেডিটারেনিয়ান স্টর্ম’ নামে সামরিক মহড়া শুরু করেছে তুরস্কের সামরিক বাহিনী। এমনটাই টুইটারে জানিয়েছেন তুরস্কের ভাইস প্রেসিডেন্ট ফুয়াদ ওকটাই। এতে নর্দান সাইপ্রাইসকে তুর্কি প্রজাতন্ত্র বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে। তিনি টুইটারে বলেছেন, আমাদের দেশ এবং টিআরএনসি (তার্কিশ রিপাবলিক অব নর্দান সাইপ্রাস) এর নিরাপত্তা আমাদের অগ্রাধিকারে রয়েছে।
এই মহড়া নিয়ে টুইট করেছে তুরস্কের সেনাবাহিনীও। এ খবর দিয়েছে অনলাইন আল জাজিরা।
উল্লেখ্য, সাইপ্রাস দুটি ভাগে বিভক্ত। একটি অংশ গিয়েছে দক্ষিণে গ্রিসের দিকে। একে বলা হয় গ্রিক সাইপ্রিয়ট। অন্য অংশ পড়েছে উত্তরে তুরস্কের দিকে। একে বলা হয় তার্কিশ সাইপ্রিয়ট। উত্তরে ১৯৭৪ সালে কয়েক লাখ সেনা মোতায়েন রেখেছে তুরস্ক। এসব নিয়ে তুরস্ক ও গ্রিসের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। রোববার টেলিফোনে এ নিয়ে আলোচনা করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়্যিপ এরদোগান ও ইউরোপিয়ান কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট চার্লস মিশেল। এ সময় তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরদোগান ইউরোপীয়ান ইউনিয়নের সব প্রতিষ্ঠান ও সদস্য রাষ্ট্রকে আহ্বান জানান সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, ফলপ্রসূভাবে আঞ্চলিক সমস্যার সমাধান দিতে। চার্লস মিশেল বলেছেন, ইউরোপীয়ান ইউনিয়নের নেতারা সমস্যার সমাধান দেয়ার চেষ্টা করছে। আগামী ২৪ ও ২৫ শে সেপ্টেম্বর যে কনফারেন্স আহ্বান করা হয়েছে তাতে উভয় পক্ষের কাছে গ্রহণযোগ্য সমাধান দেয়ার চেষ্টা করবে ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন।