তরুণ সমাজের জন্য হুমকি ই-সিগারেট নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছে তামাকবিরোধী ১১টি সংগঠন। আজ বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়েছে। সরকার এবিষয়ে দ্রুত কার্যকর উদ্যোগ নিবে বলেও বিবৃতিতে আশা প্রকাশ করা হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নতুন প্রজন্মকে নেশায় আসক্ত করতে ইমার্জিং টোব্যাকো প্রোডাক্টস (ভ্যাপিং, ই-সিগারেট) এক ধরনের নতুন পণ্য। তামাক কম্পানিগুলো সুকৌশলে তরুণদের এই পণ্য ব্যবহারে উৎসাহিত করতে প্রচারণা করে যাচ্ছে। প্রতিবছর তামাক ব্যবহারের কারণে বাংলাদেশে এক লাখ ২৬ হাজার মানুষ মারা যান। এই ভোক্তাদের শূন্যস্থান পূরণ করতে তরুণরাই তামাক কম্পানির মূল লক্ষ্য। আমরা আজ বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবসে দেশের তরুণদের রায় ইমার্জিং টোব্যাকো প্রোডাক্টস (ভ্যাপিং, ই-সিগারেট) জাতীয় পণ্য নিষিদ্ধ করতে সরকারের কাছে আহ্বান জানাচ্ছি।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, সম্প্রতি বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস উপলক্ষে জনস্বাস্থ্য বিষয়ক আর্ন্তজাতিক সংস্থা দ্য ইউনিয়ন প্রকাশিত একটি পজিশন পেপার উল্লেখ করা হয়েছে, নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশের তরুণরা এখন তামাক কম্পানির মূল লক্ষ্য। ফলে তারা নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে ই-সিগারেট নিষিদ্ধের সুপারিশ করে।
দ্য ইউনিয়নের টোব্যাকো কন্ট্রোলের পরিচালক ড. গ্যান কুয়ান জানিয়েছেন, অধিকাংশ দেশগুলো তামাকজনিত মহামারির সমস্যার মোকাবেলা করছে। এমন অবস্থায় এ ধরনের নতুন আসক্তিকর পণ্য স্বাস্থ্যসেবার সমস্যাকে আরো প্রকট করবে এবং আন্তর্জাতিক তামাক নিয়ন্ত্রণ চুক্তি এফসিটিসি’র বাস্তবায়নকে বিলম্বিত করবে।
ই-সিগারেট নিষিদ্ধে বিবৃতি দেওয়া সংগঠনগুলো হচ্ছে, ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (ডিআইইউ), টোব্যাকো কন্ট্রোল অ্যান্ড রিসার্চ সেল (টিসিআরসি), এইড ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশ তামাকবিরোধী জোট (বাটা), বাংলাদেশে ক্যান্সার সোসাইটি, ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন, গ্রামবাংলা উন্নয়ন কমিটি, নাটাব, প্রত্যাশা মাদকবিরোধী সংগঠন, ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ (ডাব্লিউবিবি) ট্রাস্ট এবং বাংলাদেশ নেটওয়ার্ক ফর টোব্যাকো ট্যাক্স পলিসি (বিএনটিটিপি)।