ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জ থেকে বরখাস্ত পুলিশ পরিদর্শক সোহেল রানা ও তার বোন সোনিয়া মেহজাবিন শত কোটি টাকা সরিয়েছেন বলে প্রমাণ পেয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বুধবার (২ নভেম্বর) সকালে বুধবার বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের দ্বৈত বেঞ্চে এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ১৩ টি ব্যাংক হিসাবে ২২২১ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। তবে গ্রাহককে পণ্য সরবরাহ করা হয়েছে কিনা, সেটি নিশ্চিত নয়। বিভিন্ন নামে ৫০-৬০ শতাংশ মুনাফার লোভ দেখিয়ে প্রতারণা করা হতো গ্রাহকদের সাথে।
ব্যাংকে জমাকৃত অর্থ বিভিন্ন মার্চেন্টকে পরিশোধ করা হলেও বিভিন্ন ব্যক্তির নামে পাশাপাশি প্রায় ২৬ কোটি টাকা উত্তোলন করা হয়েছে, তার প্রকৃত সুবিধা কে ভোগ করেছেন সেটি জানা যায় নি। এছাড়া সোনিয়া, তার ভাই সোহেল রানা, স্বামী মাসুকুর রহমান, চাচা জায়েদুল নিজ নামে ৩০ কোটির বেশী অর্থ নিজেদের নামে উত্তোলন করেন।
গ্রাহকদের পণ্য না দিয়ে এভাবে অর্থ নিজেরা উত্তোলন করা প্রতারণার শামিল বলে উল্লেখ করা দাখিলকৃত প্রতিবেদনে।
এর আগে এই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে গ্রাহকের অর্থআত্মসাৎ ও পাচারের ঘটনা তদন্তে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। চার মাসের মধ্যে এই বিষয়ে দুদক ও বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সংশ্লিষ্টদের এই প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছিল।