ইসরায়েলের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের পর এবার প্রতিরক্ষা চুক্তি করলো মুসলিম দেশ বাহরাইন। দুই দিনের সফরে গিয়ে বৃহস্পতিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) নিরাপত্তা সহযোগিতা চুক্তি সাক্ষর করেন ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেনি গানৎজ। এদিন, বাহরাইনে মার্কিন নৌঘাঁটিও পরিদর্শন করেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্ততায় ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে পারস্য উপসাগরীয় দেশ বাহরাইনের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলে ইসরায়েল। এরপর প্রথমবারের মতো দেশটিতে সফর করেন ইসরায়েলের কোনো প্রতিরক্ষামন্ত্রী। দুই দিনের সফরে প্রতিরক্ষামন্ত্রী ছাড়াও বাহরাইনের বাদশা হামাদ বিন ঈসা আল খলিফার সাথে বৈঠক করেন তিনি। বৃহস্পতিবার দুই দেশের মধ্যে বেশ কিছু নিরাপত্তা সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষর হয়। এর আওতায়, প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ও অস্ত্র চুক্তি রয়েছে।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেনি গানৎজ বলেন, এই সফরকে আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছি। আমরা এরই মধ্যে দ্বিপাক্ষিক নিরাপত্তা চুক্তি স্বাক্ষর করেছি। সম্পর্কের এক বছরের মধ্যে এমন চুক্তিকে অনন্য মাইলফলক হিসেবে দেখছি। এই সম্পর্ককে আগামীতে আর দৃঢ় করতে চাই।
এই সফরে বাহরাইনে অবস্থিত মার্কিন নৌ ঘাঁটিও পরিদর্শন করেন বেনি। এ সময় তিনি মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠায় যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ অবদানের কথা তুলে ধরেন। বেনি গানৎজ বলেন, মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠায় দারুণ অবদান রাখছে যুক্তরাষ্ট্র। ইসরায়েলি নৌ বহরকে আরও শক্তিশালী করতে মার্কিন প্রশাসনের সাথে এক হয়ে কাজ করছি। গোটা অঞ্চলের স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে যে কোনো পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত আছি আমরা।
ইহুদি রাষ্ট্রের সাথে শিয়া সংখ্যাগরিষ্ঠ বাহরাইনের এমন মাখামাখি সম্পর্কের নিন্দা জানিয়েছে ফিলিস্তিনি। ঘটনাটিকে তাদের সাথে বিশ্বাসঘাতকতার শামিল বলেও মন্তব্য করা হয়। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উদ্যোগে ইসরায়েলের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করে সংযুক্ত আরব আমিরাত, মরক্কো, বাহরাইন ও সুদান।