পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে নির্বাচন কমিশন। এআরওয়াই নিউজকে উদ্ধৃত করে এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। এতে বলা হয়, কমিশনকে অবমাননার এক মামলায় ইমরান খান ও তার সাবেক তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরীর বিরুদ্ধেও একই পরোয়ানা জারি করেছে নির্বাচন কমিশন।
গত বছর ইমরান খান, ফাওয়াদ চৌধুরী এবং পিটিআইয়ের নেতা আসাদ উমরের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনের পর্যবেক্ষক এবং প্রধান নির্বাচন কমিশনারের বিরুদ্ধে অসংযত ভাষা ব্যবহারের অভিযোগ আনা হয়। বলা হয়, এর মধ্য দিয়ে তারা নির্বাচন কমিশনকে অবমাননা করেছেন। মঙ্গলবার ইমরান খান ও ফাওয়াদ চৌধুরীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার নির্দেশ দেয় কমিশনের চার সদস্যের বেঞ্চ। কারণ, বেশ কয়েকবার সতর্কতা দেয়া সত্ত্বেও তারা মঙ্গলবারের শুনানিতে উপস্থিত হতে ব্যর্থ হন। অন্যদিকে আসাদ উমরের আইনজীবী নির্বাচন কমিশনের আদালতে জানান, তার মক্কেল আরেকটি মামলায় হাজিরা দিচ্ছেন এবং ডাক্তারের সঙ্গে তার অ্যাপয়েন্টমেন্ট আছে। এ জন্য তাকে শুনানির বাইরে রাখার অনুরোধ করা হয়। নির্বাচন কমিশনের আদালত এই অনুরোধ গ্রহণ করেন এবং ওই আইনজীবীকে নির্দেশ দেন, এর প্রেক্ষিতে আনুষ্ঠানিকভাবে একটি আবেদন দিতে।
কিন্তু মামলায় ইমরান খান ও ফাওয়াদ চৌধুরীর বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। এই মামলার শুনানি আগামী ২৫শে জুলাই পর্যন্ত মুলতবি করা হয়েছে।
এর আগে পিটিআইয়ের এসব নেতাকে ব্যক্তিগতভাবে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন অথবা আইনজীবীর মাধ্যমে অনুপস্থিতির কারণ ব্যাখ্যা করতে বলা হয়েছিল। কিন্তু এর বিপরীতে গিয়ে তারা নির্বাচন কমিশনের নোটিশ চ্যালেঞ্জ করেন হাইকোর্টে। দীর্ঘ শুনানি শেষে ইমরান খান, ফাওয়াদ চৌধুরী এবং আসাদ উমরের বিরুদ্ধে মামলার প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখতে নির্বাচন কমিশনকে জানুয়ারিতে অনুমোদন দেয় সুপ্রিম কোর্ট।