ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিম উপকূলে একটি ডুবন্ত নৌকা থেকে শতাধিক রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করেছে দেশটির নৌবাহিনী। উদ্ধারকৃত রোহিঙ্গাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। খবর রয়টার্সের।
রয়টার্স জানিয়েছে শুক্রবার (৩১ ডিসেম্বর) ভোরের দিকে তীব্র বাতাস ও ঝোড়ো আবহাওয়ার মধ্যে ওই বিপদগ্রস্থ রোহিঙ্গাদের উদ্ধার করা হয়।
জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাই কমিশনের (ইউএনএইচসিআর) ইন্দোনেশিয়া অঞ্চলের কর্মকর্তা ওকতিনা হাফানতি জানান, প্রায় ডুবে যাওয়া ওই কাঠের নৌকাটিতে ছিলেন ১০৫ জন রোহিঙ্গা, যাদের ৫০ জন নারী ও ৪৭ জন শিশু। নারীদের মধ্যে কয়েকজন অন্তস্বত্ত্বাও ছিলেন। প্রাথমিক স্বাস্থ্যপরীক্ষার পর উদ্ধারকৃতদের সবাইকে ১৪ দিনের জন্য আইসোলেশনে রাখা হবে বলে জানিয়েছেন হাফানতি।
জানা গেছে, মালয়েশিয়ার উদ্দেশে মিয়ানমারের আরাকান থেকে ইঞ্জিনচালিত ওই কাঠের নৌকায় রওনা হয়েছিলেন এ রোহিঙ্গারা। টানা ২৮ দিন সমুদ্রযাত্রার পর নৌকার ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়, পানি উঠতে শুরু করে, একপর্যায়ে পানি উঠতে শুরু করে নৌকার ফুটো দিয়ে। এ অবস্থায় গতকাল বৃহস্পতিবার তাদেরকে প্রথম দেখতে পায় ইন্দোনেশিয়ার আচেহ প্রদেশের একটি জেলে নৌকা। তারপর তারা নৌ বাহিনীকে জানালে তারা এসে উদ্ধার করে রোহিঙ্গাদের।
উল্লেখ্য, প্রথমে এসব রোহিঙ্গা গ্রহণে অনিচ্ছুক ছিল ইন্দোনেশিয়ার সরকার কিন্তু জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাই কমিশন ও অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশালের তদবিরে মত পরিবর্তন করে তারা। ইন্দোনেশিয়ার সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দু’সপ্তাহের কোয়ারেন্টাইন শেষ হলে রোহিঙ্গাদের আচেহ প্রদেশের মেদান ও সুরাবায়াতে রাখা হবে।