মহামারী করোনার পরবর্তী সময়ে ইতালির অর্থনীতিকে সচল রাখতে শর্তসাপেক্ষে দেশটিতে বৈধতার ঘোষণা দেয়া হলে এ পর্যন্ত দেশটিতে বৈধতা পাবার জন্য আবেদন করেছেন ২ লাখ ৭ হাজার অনিয়মিত অভিবাসী। যারমধ্যে ১৬ হাজার ১০২ জন বাংলাদেশী অভিবাসী রয়েছেন বলে খবর প্রকাশ করেছে দেশটির বিভিন্ন গণমাধ্যম।
প্রতি বছর দেশটির কৃষিখাতে কাজের জন্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে খন্ডকালীন শ্রমিক আনা হলেও চলতি বছরে মহামারী করোনার কারণে এসব দেশ থেকে শ্রমিক আনতে পারেনি ইতালি। তাই দেশটির কৃষিমন্ত্রী বেল্লানোভার অনুরোধে দেশটিতে বসবাসরত অনিয়মিত অভিবাসীদের কৃষি ও এই খাতের সাথে সম্পৃক্ত খাতগুলোতে কাজের শর্তে বৈধতা প্রদানের ঘোষণা দেয়া হয়। পরে দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে পহেলা জুন থেকে ১৫ জুলাই পর্যন্ত বৈধতার আবেদনের সময়সীমা বেঁধে দেয়া হলেও আইনের নানা প্যাঁচে অনেক অভিবাসীই আবেদন করতে ব্যর্থ হয়। পরে বৈধতা পাবার শর্তসমূহ কিছুটা শিথিল করে আবেদনের সময়সীমা ১৫ জুলাই থেকে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়ানো হয়।
তবে দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের এক হিসাবে দেখা গেছে, চলতি মাসের ১৯ তারিখ পর্যন্ত দেশটিতে বৈধতা পেতে সর্বমোট আবেদন জমা পড়েছে ২ লাখ ৭ হাজার জনের। যারমধ্যে ১৬ হাজার ১০২ জন বাংলাদেশী নাগরিক। সর্বমোট আবেদনের মধ্যে ৮৫ ভাগ আবেদন করেছেন বাসা-বাড়িতে কাজের জন্য আর বাকি ১৫ ভাগ আবেদন করেছেন কৃষিখাতে কাজের জন্য।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ সমিতি ইতালির সাবেক সভাপতি জি এম কিবরিয়া বলেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আমাদের অনেক দাবী আদায় করেছি। এবছরেও আমরা আন্দোলনের মাধ্যমে দেশটির সরকারের কাছে অনিয়মিত অভিবাসীদের বৈধতা প্রদানের অনুরোধ জানালে সরকার আমাদের দাবী মেনে নিয়ে বৈধতা প্রদানে রাজি হয়েছেন। তবে সরকার এখানে কিছুটা শর্ত দিয়ে রেখেছেন। তবুও আমরা চেষ্টা করছি সবাই যেন বৈধতা পায়’।