নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি: নারায়ণগঞ্জ সোনারগাঁ উপজেলা নোয়াগাঁ ইউনিয়ন পরিষদের সচিব হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করেছেন মাহমুদা খানম। ব্যক্তিগত দালাল চক্রের মাধ্যম ছারা সেবা নিতে জনসাধারণকে বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করে যাচ্ছে মাহমুদা খানম। জন্ম নিবন্ধন করার জন্য লাধুরচর মাদ্রাসা পড়া এক শিক্ষাথী ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে হাজির হলে, দালান সিন্ডিকেডের মাধ্যমে তার থেকে অতিরিক্ত টাকা দাবি করা হয়। কারণ শিক্ষাথীর মা ২০০০ সালে মৃতু্যবরণ করে, যে কারণে তার মায়ের জন্ম নিবন্ধন নাই। পরবর্তী সময়ে বিষয়টি নিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান কাছে অবগত কিরিলে, চেয়ারম্যান বিষয়টি সমাধান করেন।
ইউনিয়ন পরিষদে সেবা নিতা আসা শেককান্দী গ্রামের রহিমা খাতুন জানান, বিগত ১ মাস ধরে ছেলের পাসপোর্ট করার জন্য জন্ম নিবন্ধন করার জন্য ৫ হতে ৬ বা র এসেও, নিবন্ধনের কাগজ পাওয়া যায়নি। আমরা ইউনিয়ন পরিষদে আসার পর দালাল চক্রের সদস্য, ৫০০ শত টাকা দাবি করে। দুই দিন পর নিবন্ধনের কাগজ জরুরি ভাবে করিয়ে দিবে বলে জানায়, যেখানে সরকারি ফ্রি-১৫০ টাকা। ইউনিয়ন পরিষদের কর্মরত গ্রাম পুলিশ সদস্য একজন নাম না প্রকাশ করার শর্তে জানায়, যোগদান করার পর থেকে বিভিন্ন দালাল চক্রের সদস্যদের সাথে ইউনিয়ন পরিষদ সচিবের সক্ষতা দেখতে পাওয়া যায়। দালাল চক্রের সদস্যরা ইউনিয়ন পরিষদের বিভিন্ন ওয়ার্ডের বাসিন্দা, সরকারি ভাতা কার্ড সহ সকল ধরনের সেবা নিতে সিন্ডিকেটের সদস্যদের মাধ্যমে অতিরিক্ত টাকা আদায় করে যাচ্ছে।
বিগত ইউপি চেয়ারম্যান ইউসুফ দেওয়ানের সময় কালে যোগদান করার পর থেকে দালাল চক্রের সদস্যদের সাথে ইউপি সচিব মাহমুদা খানমের সক্ষতা তৈরি হয়। বর্তমান চেয়ারম্যান শামসুল আলম,( সামসু) সহ সকলে তার কার্যকলাপের জন্য হেয় প্রতিপন্ন হচ্ছেন প্রতিদিন। ইউনিয়ন সেবা নিতে আসা জনসাধারণের সাথে সে অসদাচরণ করে থাকেন সব সময়। অনেক ক্ষেত্রে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ রয়েছে তাহার বিরুদ্ধে। নবনির্বাচিত ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শামসুল আলম শামস জানান, সঠিক তথ্য প্রমাণ পেলে ও লিখিত অভিযোগ পেলে অচিরেই তার বিরুদ্ধে কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হবে। সোনারগাঁ নোয়াগাঁ ইউনিয়ন পরিষদের সকল স্তরের জনগণের দাবি, দ্রুত সময়ের ভিতর উক্ত বিষয়ে কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।