স্থানীয় সরকারের আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত জানিয়েছে বিএনপি। রবিবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ কথা জানান। এ দিন বিকালে রাজধানীর গুলশানের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি দলের এ অবস্থান তুলে ধরেন।
শনিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিকালে দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকের সিদ্ধান্ত তুলে ধরতে এ সংবাদ সম্মেলন করেন বিএনপির মহাসচিব। তিনি বলেন, ‘স্থায়ী কমিটির সভায় সম্প্রতি অনুষ্ঠিত বিভিন্ন উপজেলা পরিষদের উপ-নির্বাচন ও সব পৌরসভার নির্বাচনে সরকারের নগ্ন হস্তক্ষেপ এবং নির্বাচন কমিশনের সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে চরম ব্যর্থতার তীব্র নিন্দা ও ধিক্কার জানানো হয়।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে বলেই চরম প্রতিকূল অবস্থায় স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশ গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কিন্তু সাম্প্রতিক অনুষ্ঠিত নির্বাচনগুলোতে এটা প্রমাণিত হয়েছে যে, এই নির্বাচন কমিশন কোনও নির্বাচনই নিরপেক্ষ, অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে করার যোগ্য নয়। এই অনির্বাচিত সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করাই তাদের প্রধান কাজ। এ এছাড়াও স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় মনোনয়নের বিরোধিতা বিএনপি সব সময়ই করেছে। এই ভয়াবহ পরিস্থিতিতে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।’
বিএনপির মহাসচিব জানান, স্থায়ী কমিটির সভায় ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের আওতায় আটককৃত সব ব্যক্তির অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তির দাবি করা হয় এবং ‘গণবিরোধী’ ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন বাতিলের জোর দাবি জানানো হয়।
মির্জা ফখরুল জানান, শনিবার অনুষ্ঠিত স্থায়ী কমিটির সভায় দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে অংশগ্রহণ করেন, ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ।