আল জাজিরায় প্রচারিত ‘অল দ্য প্রাইম মিনিস্টারস মেন’ শীর্ষক প্রতিবেদন সামাজিক যোগাযোগ্য মাধ্যমসহ সবধরেনর অনলাইন মাধ্যম থেকে সরানোর নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। বুধবার বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ বিটিআরসিকে এই আদেশ দেন। আজ আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে মতামত দেন অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন। আদেশের সময় উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী ও বিটিআরসির পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার রেজা-ই রাকিব। রিটের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার এনামুল কবীর ইমন। তার সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার ফারজানা শায়লা।
আল জাজিরায় গত ১লা ফেব্রুয়ারি ‘অল দ্য প্রাইম মিনিস্টারস মেন’ শীর্ষক তথ্য চিত্রটি প্রচারিত হয়। বাংলাদেশ সরকার তাৎক্ষণিকভাবে রিপোর্টটি প্রত্যাখ্যান করে। পরে সরকারের একাধিক মন্ত্রীও এ নিয়ে কথা বলেন।
সেনাসদর থেকেও রিপোর্টটির প্রতিবাদ জানানো হয়। বলা হয়, এটি মিথ্যা ও অসৎ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
আল জাজিরার সম্প্রচার বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এনামুল কবির ৮ই ফেব্রুয়ারি রিট আবেদন দায়ের করেন। এতে বিটিআরসির চেয়ারম্যানসহ আটজনকে বিবাদী করা হয়। ১০ই ফেব্রুয়ারি আদালত রিটের গ্রহণযোগ্যতাসহ কয়েকটি বিষয়ে মতামত দিতে অ্যামিকাস কিউরি হিসেবে ছয় আইনজীবীর নাম ঘোষণা করেন। গত সোমবার তারা মতামত জানান।
রিট আবেদনটি গ্রহণযোগ্য নয় বলে গত সোমবার শুনানিতে মত দেন পাঁচ অ্যামিকাস কিউরি। এই পাঁচ অ্যামিকাস কিউরি হলেন সিনিয়র আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী, ফিদা এম কামাল, কামাল উল আলম, প্রবীর নিয়োগী ও শাহদীন মালিক। অপর অ্যামিকাস কিউরি আবদুল মতিন খসরু বলেন, রিট আবেদনকারী ব্যক্তিগত ও জাতীয়ভাবে সংক্ষুব্ধ। আদালত ওই তথ্যচিত্র অপসারণের নির্দেশনা দিতে পারেন।
আজ শুনানিতে অংশ নেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। তিনি বলেন, রিট আবেদনকারীর মামলা করার অধিকার আছে। দেশের সীমানায় কনটেন্ট আটকানোর কর্তৃত্ব বিটিআরসির রয়েছে। বিটিআরসির তরফ থেকে ইউটিউব, ফেসবুক, টুইটারসহ অন্যান্য মাধ্যমের সঙ্গে এ বিষয়ে যোগযোগ করা হচ্ছে। আদালতের আদেশ হলে বিষয়টি সহজ হয়। শুনানিতে অংশ নিয়ে বিটিআরসির আইনজীবী খন্দকার রেজা-ই-রাকিব বলেন, আদালতের নির্দেশনা পেলে দ্রুত ওই ভিডিও বিভিন্ন মাধ্যম থেকে ব্লক বা অপসারণ করা যাবে। ভিডিওটি দ্রুত অপসারণ করা উচিত।