তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যিপ এরদোগান বলেছেন, এখন আজারবাইজানি ভাইয়েরা প্রতিকূল অবস্থায় যুদ্ধ করে তাদের অধিকৃত অঞ্চল মুক্ত করছে। আল্লাহ তাদের (আজারবাইজানিদের) সাহায্য করুন।
রোববার দলীয় কংগ্রেস সভায় দেয়া এক ভাষণে তিনি কথা বলেন। এ খবর জানিয়েছে তুর্কি সংবাদমাধ্যম ইয়েনি শাফাক। এরগোগান বলেন, আমি বিশ্বাস করি তারা ফিরে আসবে এবং আর্মেনিয়ার দখল থেকে অধিকৃত ভূখণ্ড মুক্ত করবে। আমরা তাদের জন্য প্রার্থনা করছি। আশা করি তারা সফলভাবে এটি পাবেন।
‘আর্মেনিয়ার বিপক্ষে আমাদের আজারবাইজানের ভাইয়েরা বর্তমানে খুবই গুরুতর প্রতিকূল অবস্থায় যুদ্ধ করছে। তারা কেন প্রতিকূল অবস্থায় যুদ্ধ করছে? কারণ তারা আর্মেনিয়ার দখল থেকে।আজারবাইজানের ভূখণ্ড মুক্ত করছে। ’ এ সময় (ওএসসিই) মিনস্ক গ্রুপের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন এরদোগান। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া ও ফ্রান্স আর্মেনিয়ার পাশে দাঁড়িয়েছে তাদের অস্ত্র দিয়ে সহায়তা করছে।
আপার কারাবাখ সংঘাত শান্তিপূর্ণভাবে মীমাংসার জন্য দি অর্গানাইজেশন ফর সিকিউরিটি অ্যান্ড কোঅপারেশন ইন ইউরোপ (ওএসসিই) মিন্সগ্রুপ ১৯৯২ সালে গঠন করা হয়েছিল, তবে এতে কোনো উপকার হয়নি। তুর্কি প্রেসিডেন্ট জোর দিয়ে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া ও ফ্রান্স ৩০ বছর ধরে এ সমস্যার সমাধান করেনি এবং তারা আজারবাইজানি জনগণকে তাদের ভূমি হস্তান্তর করেনি। দ্বিতীয়বারের মতো যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যে তুমুল লড়াই চলছে। এরই মধ্যে আজারবাইজানের দ্বিতীয় বৃহত্তর গানজা শহরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে আর্মেনিয়া। উভয় দেশই পাল্টাপাল্টি হামলার অভিযোগ তুলছে।
২৭ সেপ্টেম্বর থেকে বিরোধীয় নাগোরনো-কারাবাখ নিয়ে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান নতুন করে যুদ্ধে জড়ায়। পরবর্তীতে ১০ অক্টোবর রাশিয়ার মধ্যস্থতায় আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যে ম্যারথন আলোচনা হয়। দ্বিতীয়বারের মতো শনিবার রাত থেকে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ার পরপরই গানজাতে আর্মেনিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ১৩ জন বেসামরিক লোক নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে চারজন নারী ও তিনজন শিশু রয়েছে। এ ছাড়া হামলায় আহত হয়েছেন ৫০ জন।
কারাবাখ অঞ্চলটি আন্তর্জাতিকভাবে আজারবাইজানের ভূখণ্ড হিসেবে স্বীকৃত। তবে ওই অঞ্চলটি জাতিগত আর্মেনীয়রা ১৯৯০’র দশক থেকে নিয়ন্ত্রণ করছে। ওই দশকেই আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের সঙ্গে যুদ্ধে ৩০ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়।