বাংলাদেশের মাটি ও মানুষের শিকড় থেকে জন্ম নেওয়া আওয়ামী লীগকে সরকার থেকে উৎখাত করার মতো কোনো শক্তি বাংলাদেশে তৈরি হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিএনপির দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী মিলিটারি ডিকটেটরের পকেট থেকে জন্ম নেয়নি। আওয়ামী লীগের জন্ম হয়েছে এদেশের মাটি ও মানুষের কাছ থেকে। আমাদের শিকড় অনেক দূর প্রোথিত হয়েছে।
বুধবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তরপর্বে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ফখরুল ইমামের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
আওয়ামী লীগকে ধ্বংসের অনেক চেষ্টা হয়েছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আইয়ুব খান, ইয়াহইয়া, জিয়া, জেনারেল এরশাদ চেষ্টা করেছে, খালেদা জিয়া চেষ্টা করেছে আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করতে। পারেনি। পারবেও না ইনশাল্লাহ।
তিনি আরও বলেন, আমরা সরকারে যখন আছি, জনগণের জানমাল রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকা মানে জনগণের সেবা করা। মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করা। আ.লীগ একটানা ১৪ বছর ক্ষমতায়। এর আগের বাংলাদেশ কী ছিলো। সেটা যদি মানুষ একটু স্মরণ করে…।
‘যারা নির্বাচনকে কলুষিত করেছে, মানুষের ভোটের অধিকার ছিনিয়ে নিয়েছে, মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিলি খেলেছে। তারাই আবার প্রশ্ন তোলে। তাদের প্রশ্ন করার কী অধিকার আছে?’
‘আওয়ামী লীগ কথা দিলে কথা রাখে। ওয়াদা দিলে ওয়াদা রাখে। যতটুকুই করতে পারব ততটুকুই বলি। আর ততটুকুই করে মানুষের সেবা নিশ্চিত করি।’
তামাক চাষ বেড়েছে, এটি কমিয়ে অন্যান্য চাষাবাদের পরিকল্পনা আছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানুষ যেখান থেকে বেশি অর্থ পায় সেটায় চাষাবাদ করে। আবাদের অনেক অনাবাদি জমি পড়ে আছে। তাই আমি বলব অনাবাদি জমি যদি চাষের আওতায় আনা যায় তাহলে উৎপাদন বেড়ে যাবে।
এ সময় যে জমিগুলো অনাবাদি আছে সেগুলো চাষের আওতায় আনার আহবান জানান তিনি।
‘স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। ৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে স্মার্ট বাংলাদেশ হবে। ২০০১ থেকে ২০০৬ বাংলাশের কি অবস্থা ছিল। দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বাংলাদেশ। জণগনের এখনও আস্থা বিশ্বাস আছে আওয়ামী লীগের ওপর। আমরা সরকারে যেহেতু আছি জণগণের জানমালের নিরাপত্তা দেওয়া আমাদের দায়িত্ব। আওয়ামী লীগ সরকার আছে বলেই স্বতস্ফূর্তভাবে ভোট দিতে পারছে। জনগণ জানে আওয়ামী লীগ যেটা বলে সেটা করে।