আজিজুর রহমান দুলালঃ ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার তহসিলদার অধীর কুমার গুহের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন উপজেলার কুসুমদী গ্রামের শুকুর কাজী।
সোমবার (৬ জুলাই) আলফাডাঙ্গা প্রেসক্লাবে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। হানিফ কাজী তার লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। তিনি বলেন, আমি মোঃ হানিফ কাজী, পিতাঃ শুকুর কাজী,গ্রামঃ কুসুমদী, উপজেলাঃ আলফাডাঙ্গা, জিলাঃ ফরিদপুর। আমি গত ১৬/০৩/২০২০ইং তারিখে আলফাডাঙ্গা ভুমি অফিসে একটি মিউটেশন করার জন্য আবেদন করি যার আবেদন নং ২২৭৯১৩৭। উক্ত মিউটেশন কাজ সম্পন্ন করার জন্য আলফাডাঙ্গা ভুমি অফিসের তহসিলদার অধীর কুমার গুহ ২০০০০/- (বিশ হাজার) টাকা খরচ বাবদ চাহিলে আমি ৫০০০/-(পাঁচ হাজার) টাকা নগদ প্রদান করি এবং বাকী টাকা মিউটেশন হওয়ার পর পরিশোধ করার কথা। কিন্তু অধীর কুমার গুহ কাজ শেষ না করেই বাকী ১৫০০০/-(পনের) হাজার টাকা দাবি করলে আমি উক্ত ১৫০০০/- টাকা নিয়ে ভুমি অফিসে গেলে তিনি টাকার দাবি করে,।এবং মিউটেশনের কি আবস্থা আছে জানতে চাইলে তাহা জানাতে অস্বীকার করে। অধীর কুমার গুহ এর সাথে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে আমার উপর ক্ষিপ্ত হয় এবং সাথে সাথে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহোদয়কে মোবাইল ফোনে অবগত করে আমার সম্পর্কে মিথ্যা বানোয়াট কথা বলে, উপজেলা নির্বাহী অফিসার আমার কথা না শুনে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে দণ্ডবিধি ১৮৬০এর ১৮৯ ধারা মোতাবেক ৩০,০০০/-(ত্রিশ হাজার) টাকা জরিমানা করে যাহার মামলা নং-৬২/২০২০। ইহাতে আমি সামাজিক ভাবে হেয়প্রতিপন্ন হইয়াছি এবং এই করোনার মহামারীর সময়ে আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হইয়াছি।
সাংবাদিকদের পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের মাধ্যমে উক্ত অসৎ তহশীলদার এর বিরুদ্ধে যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট ন্যায় বিচার দাবি করছি। এ বিষয়ে অভিযুক্ত তহশীলদার অধীর কুমার গুহ মুঠোফোনে সাংবাদিকদের বলেন আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সত্য নয়, আমি তার নিকট থেকে কোন উৎকোচ (ঘুষ)গ্রহণ করি নাই। বিষয়টি নিয়া গন্যমান্য ব্যাক্তিদের সাথে আলোচনা করে আইনগত ব্যবস্থাগ্রহন করার জন্য সবিনয় প্রার্থনা করছি।