আজিজুর রহমান দুলাল, ফরিদপুর জেলা প্রতিনিধিঃ ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলা পরিষদ চত্বরকে দৃষ্টিনন্দন করে সাজিয়ে তুলেছেন ফরিদপুর -১ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য মনজুর হোসেন বুলবুল,উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম জাহিদুল হাসান জাহিদ,এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রাশেদুর রহমানের যৌথ উৎদ্যোগে উপজেলা পরিষদ চত্বরকে পরিকল্পিতভাবে গুছিয়ে আধুনিক ও মডেল উপজেলা হিসেবে গড়ে তোলার জন্য নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। উপজেলা চত্তরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দৃষ্টিনন্দন ভাস্কর্য নির্মাণ করা হয়েছে।উপজেলার ভিতরে ২১একর জায়গা জুড়ে কয়েক হাজার বিভিন্ন প্রকারের ফলজাত, বনজ,ও ঔষধি এবং বিদেশ থেকে আনা হয়েছে দৃষ্টিনন্দন কিছু গাছের চারা।বৃক্ষ রোপন নিঃসন্দেহ প্রশংসনীয়।
পুকুর পাড়ের চারিপার্শ্বে রঙ্গিন ইট দিয়ে মর্নিং ওয়ার্ক করার জন্য ওয়াক ওয়ে নির্মাণ করা হয়েছে , পুকুর পাড়ে সারিবদ্ধভাবে দুব্বা ঘাস লাগানো হয়েছে। উপজেলার ভিতরে পানিজমে থাকার কারনে মাটি দিয়ে সন্পর্ন জায়গাটাকে ভরাট করে সমান করা হয়েছে। উপজেলা পরিষদ চত্বর এতটাই খারাপ ছিল যে কোন অফিসার এখান এসে থাকতে চাইতো না।কোয়ার্টারের ভবনের জরাজীর্ণতার কারণে সরকারি কর্মকর্তা, কর্মচারীরা কোয়ার্টারে থাকতে চায় না।কোয়ার্টারের আবাসিক শিশুদের বিনোদনের জন্য স্থাপিত হয়েছে বিভিন্ন রাইডযুক্ত মিনি শিশু পার্ক।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে নিজস্ব অর্থায়নে উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা পরিষদ ১১টি বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
এগুলোর মধ্যে রয়েছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিক উদযাপন উপলক্ষে উপজেলা পরিষদের অভ্যন্তরে মডেল বাগান তৈরী , উপজেলা পরিষদের অভ্যন্তরের পুকুরে গাইড ওয়াল নির্মান, পরিষদের অভ্যন্তরে পুকুর পাড়ের চারিপার্শ্বে ওয়াক ওয়ে নির্মাণ , শিশু পার্ক নির্মাণ, ব্যাডমিন্টন কোর্ট নির্মাণ , জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিক উদযাপন উপলক্ষে ২০০টি স্মারক মগ তৈরী ও বিতারণ , উপজেলা পরিষদের অভ্যন্তরে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা ইত্যাদি।
এই পরিকল্পনার অংশহিসেবে গত ৫ জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবসে আনুষ্ঠানিকভাবে মডেল বাগানের উদ্বোধন করা হয়। উপজেলা পরিষদ চত্বরের বিভিন্ন স্থানে প্রায় ২১ একর জমিতে ৭২ প্রজাতির প্রায় কয়েক হাজার উন্নত জাতের ফলদ ঔষধি ও বিদেশ থেকে আনা হয়েছে দৃষ্টিনন্দন কিছু গাছের চারা। উপজেলা চেয়ারম্যান একেএম জাহিদুল হাসান জাহিদ ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাশেদুর রহমানের হাতের ছোঁয়ায় উপজেলার চিত্র অনেকটাই পাল্টে গেছে। উপজেলা
চত্তরে যখনই যাই তখনই চোখে পড়ে উপজেলা চেয়ারম্যানের সিএ রাজু আহম্মেদকে তিনি সব সময় এ কাজের দেখাশুনা করছেন।
উপজেলা চেয়ারম্যান একেএম জাহিদুল হাসান জাহিদ বলেন, আলফাডাঙ্গা উপজেলা পরিবেশ এতটাই খারাপ যে, কোন অফিসার এখানে এসে থাকতে চায় না, উপজেলা পরিষদ চত্বর দৃষ্টিনন্দন এবং পরিবেশ সুন্দর থাকলে কোন অফিসার এসে আর যেতে চাইবে না।তাই আলফাডাঙ্গা উপজেলা পরিষদ চত্বরকে বাংলাদেশের ভিতর মডেল উপজেলা হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।
এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাশেদুর রহমান বলেন,আমি আলফাডাঙ্গা উপজেলায় এসে যে পরিবেশ দেখেছি ঐ পরিবেশে কোন অফিসার এসে থাকতে চাইবে না।এমপি স্যার,এবং উপজেলা চেয়ারম্যানের সাথে আলোচনা করে তিনজনে সিদ্ধান্ত নিয়েছি
আলফাডাঙ্গা উপজেলাকে মডেল উপজেলা হিসেবে গড়ে তুলব।আমি এখানে থাকবো না কিন্তু আলফাডাঙ্গার মানুষ সারা জীবন আমাকে স্মরণ করবে।