আজিজুর রহমান দুলাল(ফরিদপুর) প্রতিনিধিঃ ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার সদর ইউনিয়নের মধুনগর গ্রামের একটি রাস্তা। একটু বৃষ্টিতেই কর্দমাক্ত হয়ে ওঠে রাস্তাটি। কাদার মধ্য দিয়েই চলাচল করতে হয় ওই এলাকার মানুষের। হাঁটু সমান কাদা ভেঙ্গে চলাচলের এমন দৃশ্য এখন আর কোথাও দেখা যায় না।
অথচ এ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এ কে এম আহাদুল হাসান আহাদ বার বার উপজেলার শ্রেষ্ঠ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।বর্তমান সরকারের উন্নয়নের ছোঁয়ায় প্রত্যন্ত গ্রামেও সাধারণত ইট দিয়ে হলেও রাস্তা পাকাকরণ করা হয়েছে।
তাছাড়া সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প যেমনঃ টিআর-কাবিখা,এডিপি,এলজিএসপিসহ বাংলাদেশের প্রতিটি উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদের বিভিন্ন তহবিল থেকে জনদুর্ভোগের এ সব কাজগুলো করার কথা।অথচ সদর ইউনিয়নের মধুনগর গ্রামের রাস্তা দেখে মনে হয় এখনে সরকারের কোনো উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি।
রাস্তাটির দৈর্ঘ্য আধা কিলোমিটার মাত্র।বৃষ্টি নামলে হাঁটুসমান কাদা হয়ে যায় রাস্তটিতে। নারী-পুরুষ, শিশু ও অসুস্থ রোগী নিয়ে চলাচলে এলাকাবাসীর চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।আলফাডাঙ্গা উপজেলাতে এরকম খারাপ রাস্তা নাই বললেই চলে।পাশেই বিশাল ফসলের মাঠ একটু বৃষ্টি নামলে কৃষকের পক্ষে ফসল আনা খুব কষ্ঠকর হয়ে পড়ে।দীর্ঘদিন ধরে এ অবস্থা চলতে থাকায় জনপ্রতিনিধিদের ওপর এলাকাবাসী চরম ক্ষুব্ধ।
স্থানীয় বাসিন্দা জাকির, মনিকৃষ্ণ, আনন্দ, দিলিপ বলেন,আমাদের উপজেলায় এরকম আর কোনো রাস্তা আছে বলে মনে হয় না।আমাদের এ রাস্তাটি জনপ্রতিনিধিদের অনেকবার বলার পর কোন গুরুত্ব দিচ্ছে না। আমরা এ দুর্ভোগ থেকে মুক্তি চাই।
সদর ইউপি চেয়ারম্যান এ কে এম আহাদুল হাসান আহাদ বলেন, আমার ইউনিয়নে এই একটি রাস্তা বাদে আর কোন কাচা রাস্তা নাই। এ বছর না হলেও আশা করি যতদ্রুত সম্ভাব এ রাস্তার কাজ শুরু হবে।