আজিজুর রহমান দুলালঃ ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় সরকারি খাদ্যগুদামে খাদ্য সংগ্রহে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে।
খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ একরাম হাসান খান চলতি আমন মৌসুমে খাদ্য সংগ্রহে দূর্নীতির আশ্রয় নিয়েছে। স্থানীয় কৃষকদের কাছ থেকে ধান সংগ্রহ করে অনুমোদিত মিলার দিয়ে ছাটাই পুর্বক চাল সংরক্ষন করার কথা থাকলেও ওই কর্মকর্তা নিজেই বাইরে থেকে নিম্নমানের চাল আমদানি করে খাদ্যগুদামে সংরক্ষিত ভিজিডি-র ভাল চালের সঙ্গে নিম্নমানের চাল মিশিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন।
বেশ কয়েক দিন ধরে খাদ্যগুদামের অভ্যন্তরে প্রায় ২০ টন নিম্নমানের চাল ভাল চালের সাথে মেশানো হয়েছে। গোপনসূত্রে খবর পেয়ে আলফাডাঙ্গা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ কে এম জাহিদুল হাসান জাহিদ ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই কর্মকর্তার জালিয়াতি হাতেনাতে ধরেন। এ সময় গুদামটিতে মিশ্রিত চাল ছাড়াও নিম্নমানের ৪২ বস্তা চাল পাওয়া যায়।
জানা গেছে, এ বছর উপজেলাটিতে ৫৭২ মেট্রিক টন চাল ৩ জন মিল মালিককে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ২টি মিল- কুসুমদীর নুরু এন্ড ব্রাদার্স রাইস মিল ও বিসমিল্লাহ রাইস মিল থেকে ৩৮৫ মেট্রিক টন চাল সংগ্রহের অনুমোদন দেখানো হলেও অপর মিলটি বিগত সাত বছর যাবত বন্ধ রয়েছে। ধারনা করা হচ্ছে বরাদ্দকৃত বাকি চাল ওই মিলটির নামে বাইরের থেকে নিম্নমানের চাল আমদানি করে থাকে ওসিএলএজডি নিজেই। যা ভাল চালের সাথে মিশ্রিত করে পূরন করা হতে পারেন।
এ ব্যপারে আলফাডাঙ্গা খাদ্য গুদাম ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ একরাম হাসান খান বলেন সংগ্রহীত ধান থেকে যে চাল পেয়েছি সে গুলোই ৩০ কেজি ওজনের বস্তাজাত করা হচ্ছিল। দূর্নীতির বিষয়টি অস্বীকার করেন তিনি।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রাশেদুর রহমান বলেন, আমি সরেজমিনে গিয়ে সততা পেয়েছি, বিষয়টি অধিকতর তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উপজেলা চেয়ারম্যান এ কে এম জাহিদুল হাসান জাহিদ বলেন, আলফাডাঙ্গায় কোন দুর্নীতি বরদাশত করা হবে না। দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি জানান তিনি।
ফরিদপুর জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা মো সাহিদার রহমান খবর পেয়ে সরেজমিনে গুদামটি পরিদর্শন করেছেন। এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন অভিযোগের প্রেক্ষিতে অবশ্যই তদন্ত টিম গঠন করা হবে।