আজিজুর রহমান দুলালঃ গত রবিবার (১০ অক্টোবর) ফরিদপুর জেলার আলফাডাঙ্গার সদর ইউনিয়নের বারইপাড়া গ্রামে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বসতবাড়িতে ভাঙচুর ও লুটপাটের খবর পাওয়া গেছে।
সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, গত সোমবার (৪ অক্টোবর) খলিল সরদারের ছেলে ৭ম শ্রেণীর ছাত্র রিফাত সরদার ও একই গ্রামের হুমায়ুন সরদারের ছেলে ১০ম শ্রেণীর ছাত্র আবিদ সরদারের মধ্যে মোবাইলে গেমস খেলাকে কেন্দ্র করে কথা কাটাকাটির জের ধরে বাড়িঘর ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। ক্ষতিগ্রস্ত প্রবাসী খলিল সর্দারের স্ত্রী রাশিদা বেগম অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
এ ঘটনায় পুলিশ চার জনকে আটক করেছে। আটককৃতরা হলো, ওই গ্রামের নাসির মিয়া, মিজানুর সর্দার, এনায়েত মিয়া ও মিনা বেগম।
এ ঘটনায় দু’পক্ষর অভিভাবক থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। পরবর্তীতে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দু’পক্ষেকে সংঘাত না করার জন্য অনুরোধ করেন। কিন্তু এই ঘটনার জের ধরে রোববার সকালে পূর্বপরিকল্পিত ভাবে হুমায়ুন সরদারের পক্ষের প্রায় ৪০-৫০ জনের একটি দল দেশীয় অস্ত্র নিয়ে প্রবাসী খলিল সরদারের বাড়ির প্রাচীর ভেঙে প্রবেশ করে তিনটি টিনশেড ঘরে ব্যাপক ভাঙচুর করে।
হামলাকারীরা হাতুড়ি দিয়ে একতলা বিল্ডিংয়ের অলভেঙে ঘরে প্রবেশ করে মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে যায়। এসময় হামলাকারীরা সোহাগ সর্দার নামে এক ব্যবসায়ীর বাড়িতেও ভাঙচুর চালায়। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে এ ঘটনায় কোন হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
এবিষয়ে রাশিদা বেগম জানান, ‘আমার স্বামী ও বড় ছেলে বিদেশে থাকে। বাড়িতে আমি ও আমার ছোট ছেলে থাকি। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে প্রতিপক্ষরা আমাদের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট করে জিনিস পত্র নিয়ে গেছে।
প্রতিপক্ষ হুমায়ুন সরদার বলেন, ‘কিছু দিন আগে আমাকে তারা মেরে আহত করেছিল বলে প্রতিশোধ নিয়েছি, তবে ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা মিথ্যা ও বানোয়াট।
থানা ওসি মো. ওয়াহিদুজ্জামান জানান, ‘ভাঙচুরের খবর শুনে দ্রুত পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। ঘটনাস্থল থেকে চারজনকে আটক করা হয়েছে। এঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’