ফরিদপুর প্রতিনিধিঃ সাধারণ জনগণের চলাচলের রাস্তা দখল করে বাঁশের বেড়া দিয়েছেন মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী। উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের কুচিয়াগ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় ভূক্তভোগী আইয়ুব মোল্যা গত ২৩ অক্টোবর বুধবার ফরিদপুর জেলা প্রশাসক ও আলফাডাঙ্গা থানায় গোপালপুর ইউনিয়নের মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খাদিজা পারভিন ও তার ছেলে ছাত্রলীগ নেতা হৃদয় স¤্রাটের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। জেলা প্রশাসক লিখিত অভিযোগটি ফরোয়ার্ড করে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দায়িত্ব দিয়েছেন।
লিখিত অভিযোগ থেকে জানা যায়, উপজেলার কুচিয়াগ্রামের আইয়ুব মোল্যা সাথে একই গ্রামের আওয়ামী নেত্রী খাদিজা পারভিন পাশাপাশি বাড়িতে বসবাস করে। আইয়ুবের বাড়ির দক্ষিণ পাশে সাধারণ মানুষের চলাচলের সরকারি একটি রাস্তা রয়েছে। সে রাস্তা দিয়ে গ্রামের মানুষ চলাচল করে। চলতি মাসের ১১ তারিখে সকালে খাদিজা তার লোকজন নিয়ে রাস্তা দখল করে বাঁশের বেড়া দেয়। আইয়ুর মোল্যা প্রতিবাদ করতে গেলে গালিগালাজ করে,খুন জখমের হুমকি দেয়।
আইয়ুর মোল্যা স্ত্রী আম্বিয়া বেগমের ভাষ্য, ৪০-৫০ বছরের সরকারি রাস্তা ক্ষমতার জোর খাঁটিয়ে আওয়ামী লীগ নেত্রী খাদিজা তাঁর লোকজন নিয়ে দখল করেছে। আমরা এখন বাড়ি থেকে বের হতে পারছিনা। আমরা প্রশাসনের কাছে রাস্তাটি সাধারণ জনগণের চলাচলের জন্য খুঁলে দেওয়ার দাবি করছি। ইতিপূর্বে আমাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা করে হয়রানি করেছে খাদিজা।
এ বিষয়ে খাদিজা পারভিন বলেন, আমার নিজের জমিতে বেড়া দিয়েছি। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। আমার ভাসুর সরকারি জায়গা দখল করে আছে।
আলফাডাঙ্গা থানার ওসি হারুন অর রশিদ জানান, লিখিত অভিযোগ পেয়ে একজন তদন্ত কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার সারমীন ইয়াসমীন বলেন, জেলা প্রশাসক স্যারের আবেদন হাতে পেয়ে নোর্টিশ করেছি। ৩০ অক্টোবর বিকেলে দুই পক্ষকে কাজগপত্র নিয়ে অফিসে হাজির হওয়ার জন্য বলা হয়েছে।