আজিজুর রহমান দুলালঃ: ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় গত ৪ জানুয়ারী ২০২৫ ইং সাবেক মেয়র আলী আকসাদ ঝন্টুর বিরুদ্ধে যে সাংবাদ সম্মেলন করে নানা রকমের মিথ্যা,বানোয়াড,ভিত্তিহীন, ফলবলহীন, মনগড়া বক্তব্য প্রদান করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে একই উপজেলার পানাইল গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা (অবঃ) ফুড ডিরেক্টর এস এ কে আজাদ বিরুদ্ধে ।
মঙ্গলবার ৭ জানুয়ারী দুপুর সাড়ে ১১টায় আলফাডাঙ্গা রেড চিনি চাইনিজ রেস্টুরেন্ট সদ্য সাবেক মেয়র আলী আকসার ঝন্টু বক্তব্যে বলেন, আমি বিগত ১৩ আগষ্ট ২০২৩ ইং তারিখে অলফাডাঙ্গা পৌরসভাধীন বাজারে আমি আমার স্ত্রী মাকসুদা সুলতানা পলি নামে এস এ কে আজাদ এর নিকট থেকে ০৩.৭৫ শতাংশ জমির ক্রয় করি। ক্রয় জমি টাকা প্রথম ২৫ লাখ এবং ৭৫ লাখ টাকা পরবর্তীতে দিয়ে দিয়। ক্রয় জমি মোট মূল্য বাবদ ১ কোটি টাকা পরিশোধ করি। এবং ঢাকার শ্যামলীতে তার নামের বহুতল ভবনের ২য় তলার ৪ টি ইউনিট এবং গোপালগঞ্জ এর কাশিয়ানী উপজেলার পিঙ্পুলিয়া মৌজার ৫১ শতাংশ জমি বাবদ মোট মূল্য ৩ কোটি ৫০ লক্ষ তাহার মধ্যে আমার নিকট হইতে বায়না স্বরূপ বিগত ১৪.০৭.২০২৪ আমার নিকট থেকে ২ কোটি ৬০ লক্ষ আমার নিকট থেকে গ্রহণ করেন।এবং সিকিউরিটি হিসাবে আমাকে এস এ কে আজাদ একটি চেক ২ কোটি ৬০ লক্ষ টাকার ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড, শ্যামলী শাখা, ঢাকা দেয়। উক্ত চেক নং ২০৫০২০৯০২০১১৮২৮০০ MCM ৯৬৬৪৮৬৩। আমি এস এ,কে আজাদকে জমি ও ঢাকার বহুতল ভবনের ইউনিট দলিল করে দিতে বললে বিভিন্ন তালবাহানা করেন এবং বলেন আমার আগের জমির জমি বাবদ ৭০ লাখ টাকা আগে দাও। আমি ওই টাকা এখনো পায় নাই এভাবে মিথ্যা কথা বলে। এস,এ,কে আজাদ জমি ও ঢাকার ভবনে ইউনিট লিখে দিতে তালবাহানা করলে আমি উক্ত চেকটি আমার টাকা কালেকশন করার জন্য আমার নামে থাকা রূপালী ব্যাংক আলফাডাঙ্গা শাখায় জমা দিয়। এস,কে এ,আজাদ একাউন্টে টাকা না থাকায় চেকটি ডিসঅনার হয়। সাবেক মেয়র আলী আকসাদ ঝন্টু আরো বক্তব্য বলেন আমি এস এ কে আজাদ তার পাওনা থাকা পরিশোধ করার পর তার কাছে থাকা আমার একটি ৭৫ লাখ টাকার চেক ফেরত দেয় না। চেক উদ্ধারের জন্য আমি একটি মামলা করি।মামলা ৯৮ ধারায় এবং মামলা চলমান। সে একজন মিথ্যাচার, দুর্নীতিবাজ, ঠকবাজ, প্রতারক, সরল বিশ্বাসে ভঙ্গকারী,।
ঝন্টু বলেন এস কে এ আজাদ এর আগে তার পুত্র মেয়ে স্ত্রীর নামে মামলা করেছে। তার মেয়ে তার বিরুদ্ধে ফরিদপুর প্রেসক্লাব সংবাদ সম্মেলন করেন। সে আমার মান সম্মান নষ্ট করার জন্য অবপ্রচার চালাচ্ছে। আমি একজন সমাজসেবক সাবেক জনপ্রতিনিধি। এ ব্যাপারে এস কে এ আজাদকে ফোনে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, আমি ঝন্টুর নিকট এক কোটি টাকা ফ্ল্যাট বিক্রি করেছিলাম ২০ লক্ষ টাকা আমাকে ক্যাশ দিয়েছিলো, ৭৫ লাখ টাকার একটা চেক দিয়েছিলো আর ৫ লক্ষ টাকা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সে আমাকে চেকের ৭৫ লক্ষ টাকা, বাকী ৫ লক্ষ টাকা মোট ৮০ লক্ষ টাকা আমি তার কাছে পাবো। সে সংবাদ সম্মেলন করে যা বলেছে সম্পূর্ণ মিথ্যা ভিত্তিহীন এবং বানোয়াট।