ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে ক্যাচ ছেড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নির্মম ট্রলের শিকার হয়েছেন ভারতীয় পেসার আর্শদীপ সিং। শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদীর সঙ্গে তুলনা করা হচ্ছে তাকে। তার পরিবারও আছে দুশ্চিন্তায়। তবে দুঃসময়ে সিনিয়র ক্রিকেটারদের পাশাপাশি, পাকিস্তানি ক্রিকেটারদেরও সমর্থন পাচ্ছেন এই তরুণ পেসার।
কখনও কখনও একটা ক্রিকেট ম্যাচে ব্যাট-বলের লড়াই ছাপিয়ে বড় হয়ে যায় স্নায়ুযুদ্ধ। আর ম্যাচটা যদি হয় ভারত-পাকিস্তানের, তাহলে তার তীব্রতা বেড়ে যায় অনেক গুণ। এই ম্যাচের চাপ সামলানো ভীষণ এক কঠিন কাজ; ব্যর্থতা আসতে পারে যেকোনো সময় যে কারোরই। কারণ, খেলোয়াড়রাও রক্ত-মাংসে গড়া মানুষ।
এশিয়া কাপে ভারত-পাকিস্তানের দ্বিতীয় ম্যাচের ১৮তম ওভারে আসিফ আলীর ক্যাচ ছেড়েছিলেন আর্শদীপ সিং। সেই আসিফ আলী শেষদিকে ২ চার এবং ১ ছয়ে ৮ বলে ১৬ রানের ছোট্ট ক্যামিও খেললেও বড় ম্যাচ জেতাতে সেটাই যথেষ্ট ছিল। ম্যাচের শেষ ওভারে আসিফকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন সেই আর্শদীপই। তবে ততক্ষণে হয়ে গেছে ভারতের সর্বনাশ। এক বল হাতে রেখে ৫ উইকেটের জয়ে প্রতিশোধ নেয় পাকিস্তান।
গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ হেরে সমর্থকদের তোপের মুখে পড়ার ঘটনা ভারতীয় দলের জন্য নতুন নয়। স্বাভাবিকভাবেই তরুণ পেসার আর্শদীপও পার পাননি। রোববার (৪ আগস্ট) মধ্যরাত থেকে তাকে নিয়ে শুরু হয়ে যায় ট্রলিং। আর্শদীপের পরিবার পড়ে যায় দুশ্চিন্তায়। উইকিপিডিয়ায় কে বা কারা তার নাম বদলে লিখে দেন মেজর আর্শদীপ সিং লাংরা। শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন ‘খালিস্তান মুভমেন্ট’-এর সঙ্গে জুড়ে দেয়া হয় আর্শদীপের নাম। বিষয়টি জানার পরই উইকিপিডিয়ার ভারতীয় কর্মকর্তাদের তলব করে ভারত সরকার।
তবে দুঃসময়ে দলের সিনিয়র সদস্যদের পাশে পেয়েছেন এই তরুণ পেসার। শুধু তাই নয়, চিরশত্রুদের ডেরা থেকেও সমর্থন পাচ্ছেন আর্শদীপ। ভারতের এই তরুণ ক্রিকেটারকে অপমান না করার জন্য দেশটির ক্রিকেট সমর্থকদের প্রতি অনুরোধ করেছেন পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার মোহাম্মদ হাফিজ। তিনি বলেন, ভারতীয় দলের সমর্থকদের প্রতি আমার অনুরোধ, আমরাও মানুষ। খেলায় আমাদেরও ভুল হয়। তবে সেই ভুলের জন্য দয়া করে কাউকে অপমান-অপদস্থ করবেন না।