আর্থিক অপরাধের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বাংলাদেশ ও সোমালিয়াকে পাশে চায় সংযুক্ত আরব আমিরাত। তাই তাদের ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট রোববার এ দুটি দেশের সঙ্গে এ বিষয়ে দুটি আলাদা সমঝোতা স্বারক স্বাক্ষর করেছে।
এ খবর দিয়েছে অনলাইন আশরক আল আওসাত। সংযুক্ত আরব আমিরাতের ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের প্রধান আলি ফয়সাল বা’আলাবি বলেছেন- বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) এবং সোমালিয়ার ফিন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং সেন্টারের (এফআরসি) সঙ্গে এসব চুক্তিতে আমরা একমত হয়েছি অর্থপাচার বিরোধী এবং সন্ত্রাসে অর্থায়নের বিরুদ্ধে লড়াই করতে জ্ঞানের বিনিময় ও বিশেষজ্ঞ বিনিময়ে। আন্তর্জাতিক গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর পাশাপাশি এ তিনটি দেশ এক সঙ্গে কাজ করে যাবে। অর্থপাচার ও সন্ত্রাসে অর্থায়নের বিরুদ্ধে লড়াইসহ আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে এ বিষয়ে পারস্পারিক গোয়েন্দা তথ্য বিনিময়ের কথা বলা হয়েছে। বা’আলাবি বলেন, এই তিনটি দেশের মধ্যে আর্থিক অপরাধ প্রতিরোধে এই চুক্তি হবে উত্তম একটি চর্চার ক্ষেত্রে। এতে বৃহত্তর সহযোগিতার ভিত্তিতে কাজ করবে তিনটি দেশ।
এই চুক্তি সংযুক্ত আরব আমিরাতের আর্থিক খাতে স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তায় অবদান রাখবে। একই সঙ্গে তিনটি দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরো শক্তিশালী হবে।
সোমালিয়ার এফআরসির ডিরেক্টর আমিনা আলির সঙ্গে এবং বিএফআইইউয়ের প্রধান আবু হেনা মোহাম্মদ রাজি হাসানের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করেন বা’আলাবি। ওদিকে সোমালিয়ার রাজধানী মোগাদিসুতে সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আহমেদ ওথমান আল হাম্মাদির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন সোমালিয়া বিষয়ক জাতিসংঘের মহাসচিবের বিশেষ প্রতিনিধি জেমস সোয়ান। এ সময়ে তারা সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং সোমালিয়ায় জাতিসংঘ অফিসের মধ্যে উন্নয়নে সহযোগিতার বিষয়ে অর্থপূর্ণ আলোচনা করেন। এ ছাড়া আলোচনা করা হয় দেশটির নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতায় যৌথ প্রক্রিয়ায় সমর্থনের বিষয়। আলোচনা হয় অভিন্ন বেশ কিছু স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে।