
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বৃহস্পতিবার রাতে নতুন শুল্ক আরোপের ঘোষণা করেন। এতে আরববিশ্বের ছয় দেশে উচ্চ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে।
তবে এই ৬ আরব দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি শুল্ক আরোপ করা হয়েছে সিরিয়ার ওপর। অংশীদারদের সঙ্গে বাণিজ্য ভারসাম্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ট্রাম্প এ উচ্চ শুল্ক আরোপ করেছেন বলে জানা গেছে।
তুরস্কভিত্তিক বার্তাসংস্থা আনাদোলু এজেন্সির এক প্রতিবেদন থেকে এ খবর জানা গেছে।
হোয়াইট হাউস কর্তৃক প্রকাশিত নির্বাহী আদেশ অনুসারে, সিরিয়ার শুল্কের হার ৪১ শতাংশ। এ ছাড়া ইরাকে ৩৫ শতাংশ, লিবিয়া ও আলজেরিয়ায় ৩০ শতাংশ, তিউনিসিয়ায় ২৫ শতাংশ এবং জর্ডান ১৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে।
ট্রাম্প তার ট্রুথ সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে একটি পোস্টে বলেন, শুল্ক আমেরিকাকে আবার মহান ও ধনী করে তুলছে।
একটি পৃথক সাক্ষাৎকারে তিনি এনবিসি নিউজকে জোর দিয়ে বলেন, নতুন শুল্ক বহাল থাকবে এবং এ প্রক্রিয়া খুব মসৃণভাবে চলছে।
এ ছাড়া আরও কয়েক ডজন দেশের ওপর শুল্ক আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। যার মধ্যে সুইজারল্যান্ডের ওপর ৩৯ শতাংশ, দক্ষিণ আফ্রিকার ওপর ৩০ শতাংশ, ব্রাজিলের ওপর ৫০ শতাংশ, তাইওয়ানের ওপর ২০ শতাংশ, তুরস্কের ওপর ১৫ শতাংশ এবং তালিকাভুক্ত নয় এমন দেশগুলোর জন্য ১০ শতাংশ বেসলাইন হারে শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। নতুন শুল্ক ৭ আগস্ট থেকে কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে।
১০ শতাংশ থেকে ৪১ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক প্রয়োগ করে নতুন বাণিজ্য কাঠামোয় তাৎক্ষণিক বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক প্রভাবকে হোয়াইট হাউস পারস্পরিকতা এবং ন্যায্যতার একটি পদক্ষেপ হিসেবে স্বাগত জানিয়েছে। ট্রাম্পের দাবি, এই শুল্ক বৃদ্ধি আমেরিকায় সম্পদ এবং কারখানার চাকরি আবার ফিরিয়ে আনবে।
তবে বাণিজ্য বিশ্লেষকেরা সতর্ক করে বলেছেন, উচ্চ শুল্ক আরোপের ফলে বিশ্ববাজারে যে উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে তা সরবরাহ শৃঙ্খলে সম্ভাব্য ব্যাঘাত এবং নতুন মুদ্রাস্ফীতিতে চাপ সৃষ্টি করতে পারে। বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে, যেখানে অনেক দিন ধরেই বেকারত্ব, মুদ্রাস্ফীতি ও ধীরগতির অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি রয়েছে। তারা এই শুল্কের ধাক্কায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে পড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। উচ্চ বেকারত্ব এবং ভঙ্গুর প্রবৃদ্ধির চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা মধ্যপ্রাচ্যের অর্থনীতি ইতিমধ্যেই অতিরিক্ত শুল্কের প্রভাবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে ধারণা করা যাচ্ছে।