“আমার মায়ের কি দোষ ছিল? আমার মা কেন তার ইজ্জতের সঙ্গে জীবনও দিতে হলো? আমি এখন কি করবো, কোথায় যাব?” এমন দৃশ্য মনে করিয়ে দেয় ১৯৭১ সালের পাক হানাদার বাহিনীর নৃসিংহ হত্যাকাণ্ড ও পাশবিকতার কথা৷ কয়েক মুহুর্তের জন্য দর্শকের মধ্যে পিন পতন নীরবতা পরিলক্ষিত হয়।
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে বাংলাদেশ কনস্যুলেটের আয়োজনে শনিবার রাত ৮টায় কবিতা সন্ধ্যা, মুক্তিযুদ্ধ ও বিজয়ের কবিতা অনুষ্ঠানে রাস আল খাইমা বাংলাদেশ প্রাইভেট ইংলিশ স্কুল এ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নিয়ে লেখা নাটক মঞ্চস্থ করে। অত্র স্কুল এন্ড কলেজের প্রিন্সিপাল মুহাম্মদ হাবিবুর রহমানের “প্রিয় স্বাধীনতা” নাটকে ফুটে ওঠে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্ব, মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদের আত্মত্যাগ, মা-বোনদের আত্মত্যাগ, শহীদ পরিবারের আর্তনাদ, রাজাকারের ঘৃণিত কর্মকাণ্ডসহ লাল সবুজের পতাকাবাহী দেশের গৌরবময় ইতিহাস।
ইতিহাস নির্ভর ও প্রাণবন্ত প্রায় আধাঘন্টার মঞ্চ নাটক উপস্থিত সকল দর্শককে মুগ্ধ করে।
নাটকে অভিনয় করেছেন, বোরহান, শাওন, জনি, আর্ত্রী রানী দাস, খোরশেদা আকতার লাভিবাসহ ১৭ জন শিক্ষার্থী।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, দুবাইয়ে বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কনসাল জেনারেল বিএম জামাল হোসেন, লেবার কাউন্সেলর ফাতেমা জাহান, কমার্শিয়াল কাউন্সেলর কামরুল হাসান, ফকির মনোয়ার, মোজাফফর হোসেনসহ অনেকে।
নাটকের লেখক প্রিন্সিপাল হাবিবুর রহমান বলেন, ‘বিদেশ বেড়ে ওঠা প্রজন্মের কাছে দেশের গৌরবময় ইতিহাসের চিত্র তুলে ধরতেই নাটক লিখে ছাত্রদের দিয়ে মঞ্চায়ন করিয়েছি। বাংলাদেশের জন্মের পেছনে শহীদ পরিবারের আত্মত্যাগ ও কষ্ট তুলে ধরার পাশাপাশি বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্ব নাটকের মাধ্যমে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি৷’
আরবান রিডার্স সংগঠক নওশের আলী জানান, কনস্যুলেট প্রাঙ্গণে আরবান রিডার্সের সহযোগিতায় এমন আয়োজন করার মূল উদ্দেশ্য ছিল মহান মুক্তিযুদ্ধে কবিতা ও গানের যে প্রভাব ছিল তা উপস্থাপন করা৷ মহান মুক্তিযুদ্ধে সাধারণ মানুষের সঙ্গে শিল্পীরাও তাদের প্রতিভা দিয়ে অংশ নেয়৷ রাজনীতিবিদদের নেতৃত্বের পাশাপাশি কবি সাহিত্যিকেরা রেডিওতে গান পরিবেশন করে মুক্তিযোদ্ধাদের অনুপ্রেরণা দিয়েছেন। প্রিয় স্বাধীনতা নাটকে এসব অত্যন্ত সুন্দরভাবে ফুটে ওঠেছে।’