
করোনার প্রকোপে এপর্যন্ত আমেরিকায় মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৫ লাখ ৭০ হাজারের গণ্ডি। তবে এবার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আসতে শুরু করার পরে স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় ফেরার দিকে এক কদম এগোল তারা।
এতদিন পর্যন্ত বাইরে বেরলেই মাস্ক পরা ছিল বাধ্যতামূলক। এবার সেই নিয়ম শিথিল হলো। করোনা টিকার দু’টি ডোজ নেয়া হয়েছে এমন ব্যক্তিরা মাস্ক ছাড়াই বাইরে বের হতে পারবেন। তবে, কোনও বড় জমায়েতের ক্ষেত্রে এই নির্দেশ কার্যকর হবে না। তবে কেবল টিকাকরণ সম্পূর্ণ হওয়া ব্যক্তিরাই নন, টিকাকরণ না হলেও কয়েকটি বিশেষ ক্ষেত্রে মাস্ক ছাড়া বেরনোর অনুমতি দিয়েছে বাইডেন প্রশাসন। ‘সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন’- এর জারি করা নির্দেশিকা প্রসঙ্গে সংস্থার প্রধান ড. রোচেল ওয়ালেনস্কির কথায়, ”আশা করি আমরা স্বাভাবিকতার দিকে এবার এক ধাপ এগলাম।
গত বছরখানেক ধরে আমরা বলে এসেছি কী কী করা যাবে না। আজ আমরা জানিয়ে দিলাম কী কী করা যাবে।” এমন সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন সেদেশের স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক না হলেও সেদিকে এগনোর এই প্রয়াসের প্রশংসা করছেন তাঁরা। কিন্তু যেখানে ভারত-সহ বহু দেশেই করোনা আতঙ্ক ক্রমশ বাড়ছে, সেখানে আমেরিকা কেন মাস্ক না পরার মতো সিদ্ধান্ত নিল? আসলে সেদেশে অন্তত ১টি টিকা নিয়েছেন, এমন মানুষ জনসংখ্যার অর্ধেক। টিকাকরণ সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছে এক-তৃতীয়াংশ মানুষের। সিডিসির নয়া নির্দেশিকায় বাকিরাও টিকা নেয়ার ব্যাপারে উত্সাহী হবেন বলে ধারণা। সেই কারণেই এমন পদক্ষেপ করল মার্কিন প্রশাসন। অন্যদিকে বৃটেনের একটি গবেষণায় উঠে এসেছে , করোনা টিকার একটি ডোজ পরিবারের বাকিদের সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা ৫০ শতাংশ কমিয়ে দেয়। ফাইজার বা অক্সফোর্ড-এস্ট্রাজেনেকার একটি ডোজ এমনই কাজ করছে বলে জানিয়েছে পাবলিক হেলথ ইংল্যান্ড রিসার্চ সংস্থা। সমীক্ষায় দেখা গেছে, টিকা নেয়ার ৩ সপ্তাহ পর যারা সংক্রমিত হয়েছেন, তাদের থেকে পরিবারের বাকিদের সংক্রমণের সংখ্যা ৩৮ থেকে ৪৯ শতাংশ কমেছে। বৃটেনের স্বাস্থ্য সচিব ম্যাট হ্যানকক বলেছেন, ‘এটা দারুণ খবর। আমরা জানি করোনা থেকে বাঁচতে টিকাই একমাত্র পথ। তার উপর এই সমীক্ষা প্রমাণ করছে ট্রান্সমিশন সংখ্যাও এবার কমছে।’ তিনি আরও বলেছেন, ‘টিকাই একমাত্র পথ পরিবারের সবাইকে সুরক্ষিত রাখার জন্য।’